একটি নবজাত শিশু তার বয়স ২দিন, সে যদি একটু পর পর বমি করছে এই অবস্থায় কি করা উচিত

জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যে শিশু পরিমাণে কম, পানির মতো ফেনা ফেনা বমি করে। এর কারণ, মায়ের পেটে থাকাকালেই শিশুর পেটে পানি থাকে। আর তা অনেক সময় জন্মের পরপর বমি করে বের করে দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দু-একবার বমি করার পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। সে বাতাস বের হয়ে আসার সময় কিছু দুধ গালের কোনা বেয়ে তুলে আনতে পারে। এটি সব বাচ্চার বেলায় ঘটে। এটি বমি বলা ভুল। এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেক সময় নবজাতক কোনো কারণে অতিরিক্ত কান্না করলে বমি করে ফেলে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, কৌটা বা অন্য যে কোনো দুধ দেওয়ার পর শিশু বারবার বমি করছে।

এরকম হচ্ছে না তো আপনার শিশুর ! আবার শিশুর পেট ভরে যাওয়ার পরও তাকে জোর করে বেশি দুধ খাইয়ে দেন অনেক মা, এ জন্য বাচ্চা বমি করে। এ জন্য শিশুর বুকের দুধ খাওয়া শেষ হলে তাকে খাড়া কোলে রেখে পেটের বাতাস বের করে দিতে হবে এবং ধীরে ধীরে বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে। আসলে, নবজাতক শিশু বমি করে নানা কারণে। নবজাতক শিশুর অন্ত্রনালি ও শ্বাসনালির জন্মত্রুটি থাকলে বমি দেখা দিতে পারে। যেমন ডিওডেনাল বা আইলিয়েল এট্রেসিয়া, পাইলোরিক স্টেনোসিস,

হার্সপ্রাংস ডিজিজ, মিকোনিয়াম আইলিয়াস, ট্র্যাকিও ইসো-ফেজিয়েল ফিশ্চুলা ইত্যাদি। স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া অকালজাত শিশু (প্রিটার্ম, প্রিম্যাচিউর বেবি), বিশেষত গর্ভকাল ৩২ সপ্তাহের নিচে হলে ও জন্ম ওজন ১৫০০ গ্রামের কম হলে কিছু অসুখ হয়, যার কারণে বমি হতে পারে। এ ছাড়া ইনফেকশন থেকেও বমি হতে পারে। যেমন- মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ইনবর্ন এরর অব মেটাবলিজম, এড্রিনোজেনিটাল সিনড্রোম ইত্যাদি।

তাই আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিতে হবে ঠিক কি কারণে তার বমি হচ্ছে। বমির সঙ্গে যদি পাতলা পায়খানা অর্থাৎ ডায়রিয়া থাকে, তবে বুঝতে হবে এ বমির কারণ প্রধানত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত আন্ত্রিক রোগ বা ফুড পয়জনিং। যে কোনো অসুখ থেকে বমি হলে শিশুর চেহারার মধ্যে এর প্রভাব পড়বে।

শিশুকে কাহিল বা অসুস্থ দেখাবে। সংখ্যায় খুব অল্প হলেও নবজাতকের পেটের অন্ত্রে কোনো জন্মগত ত্রুটির কারণে অন্ত্রের পথ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলে শিশু খাওয়ার পরপরই বমি করে দেয়। যদি শিশুকে গুরুতর অসুস্থ মনে হয়, খুব দুর্বল হয়ে যায়, তবে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

Sharing is caring!

Comments are closed.