বাচ্চাকে খাওয়ানো নিয়ে চিন্তিত?

মাত্রই হাঁটতে শিখেছে এমন বয়েসী শিশুরা খাবার খেতে চাইবে না কিংবা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে চাইবে- এমনটা খুবই স্বাভাবিক। সাধারণত, শিশুরা ঐ পরিমাণই খাবার খেতে চায় যা তাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ চালাবার জন্যে যথেষ্ট। তাই, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি মনে করছেন যে তার পর্যাপ্ত ওজন বাড়ছে না কিংবা সে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ততক্ষণ চিন্তার কিছু নেই। যতক্ষন পর্যন্ত আপনার সন্তান প্রাণবন্ত আছে এবং ওজন বাড়ছে, এর মানে হচ্ছে সে পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পাচ্ছে, এমনকি যদি তাতে আপনি সন্তুষ্ট নাও হন। কিছু টিপস জেনে নিন- 

১. পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো আপনার শিশুকেও একই খাবার দিন এবং সম্ভব হলে একইসাথে খাবার খান।

২. খাওয়ার জন্য অল্প খাবার দিন এবং শিশু যদি অল্পও খায় তবুও তার খাওয়ার প্রশংসা করুন।

৩. যদি আপনার শিশু খেতে না চায়, জোর করে খাওয়াবেন না। কোনো মন্তব্য করা ছাড়াই খাবারটি সরিয়ে নিন।এটি অত্যন্ত হতাশাজনক হলেও শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।

৪. আপনার সন্তান ক্ষুধার্ত থাকা পর্যন্ত বা খেতে খেতে ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত খাবার খাওয়ানো ছাড়বেন না।

৫. আপনার শিশু হয়তো আস্তে আস্তে খাবার খায়, আপনাকে ধৈয্য ধরতে হবে।

৬. ভারী খাবারের মাঝখানে শিশুকে বেশি বেশি হাল্কা খাবার দিবেন না। তাদেরকে সীমিত পরিমানে খাবার যেমন একটি দুধজাতীয় পানীয় এবং কিছু ফলের টুকরা অথবা একটি ছোট বিস্কিটের সাথে এক টুকরা পনির দিন।

৭. খাবারকে পুরষ্কার হিসেবে ব্যবহার না করাই ভাল। সেক্ষেত্রে আপনার শিশু হয়ত মিষ্টিকে চমৎকার এবং সবজিকে জঘন্য হিসেবে ভাবা শুরু করবে। তার পরিবর্তে তাকে পার্কে নিয়ে যান বা তার সাথে খেলা করার কথা দিন।

৮. যদি আপনার শিশু খাবারের মাঝখানে শরবত দিয়ে পেট ভরে ফেলে এবং দুধ বা খাবার খেতে না চায়, সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে শরবত বা এর পরিমান কমিয়ে দিন।

৯. খাওয়ার সময়টাকে উপভোগ্য করুন এবং শুধু খাবার বিষয়েই নয়, শিশুর সাথে বসে অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করুন।

১০. আপনি যদি আপনার শিশুর সমবয়সী অন্য শিশু সম্পর্কে জানেন যে খেতে পছন্দ করে, তাদেরকে আমণ্ত্রণ জানান। একটি ভালো উদাহরণ ভাল কাজ করতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার বাচ্চাকে, অন্য বাচ্চারা খাবার ব্যাপারে কতটা আগ্রহী সে সম্পর্কে বেশি করে বলছেন।

১১. আপনার শিশু পছন্দ করে এরকম বয়স্ক ব্যক্তির খোজ করুন এবং আপনাদের সাথে খেতে বলুন। অনেক সময় শিশুরা অন্যদের যেমন দাদা-দাদীর জন্যে কোনোরকম অতিরিক্ত মনোযোগ ছাড়াই খেয়ে ফেলে।

১২. শিশুদের স্বাদ পরিবর্তিত হয়, একদিন তারা যেটা ভীষণ অপছন্দ করত একমাস পরে সেটাই ভালোবাসে। মটরশুটি, মাছের ফালি, ফল, আলু এবং দুধ বিরক্তিকর খাবার হলেও তা পুরোপুরি স্বাস্হ্যকর।

টি/আ

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.