শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি

শিশুর বিকাশের জন্য পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বিকাশ স্বাভাবিকভাবে না হলে বাবা মা চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েন। তাই শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এমন খাবার শিশুকে দিন। এতে শিশুর বিকাশজনিত সমস্যা দূর হবে। জেনে নিন বিস্তারিত

– ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করতে এবং পেশী শক্তিতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম খাদ্যে বিদ্যমান উপাদানকে শক্তিতে রুপান্তর করতে সাহায্য করে। দই, দুধ, পুডিং এ যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। তাই শিশুর খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার দুধ রাখার চেষ্টা করুন।

– অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড কোষ ও স্নায়ু তৈরিতে সহায়তা করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। সয়াবিন তেল, ডিম, কমলালেবু, সামুদ্রিক মাছ ও বাদাম তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে, যা শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

– আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে অ্যানেমিয়া নামক রোগ হয়। মাংস, পালং শাক, কলিজা, লালশাক, সিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।

– ম্যাগনেশিয়াম হাড় মজবুত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম, সয়ামিল্ক, গম ও কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

– পটাশিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। টমেটো, কলা, তরমুজ, কমলা, আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকে।

– দৃষ্টিশক্তি ও হাড়ের বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। রঙিন শাকসবজি, ছোটমাছ, ফলমূল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে।

– লোহিত রক্ত কণিকা, হাড় ও কোষের গঠনে ভূমিকা রাখে। লেবু, আঙ্গুর, কাঁচা টমেটো, স্ট্রবেরি, আম, কলা, পেপে ও পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে।

– হরমোন তৈরিতে এবং হাড় ও দাঁতের মজবুত গঠনে ভিটামিন-ডি সাহায্য করে। দই, সূর্যের আলো, সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়৷

– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন-ই। আঙ্গুর, আম, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই৷

– হজম, বিপাক ও বৃদ্ধির জন্য জিংক অন্যতম। মুরগির মাংস, বাদাম, মটরশুঁটি, দুধে প্রচুর জিংক বিদ্যমান।

কেএস/

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.