জন্মের পর আপনার ছোট্ট সোনামনির যত্ন

জন্মের পরপরই নবজাতকের গায়ে লেগে থাকা সাদা সাদা অংশগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। শিশুর পায়খানা ও প্রস্রাবের রাস্তা ঠিক আছে কি না, কিংবা চোখের সমস্যা আছে কি না এবং শিশু কাঁদছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে। অনেক শিশুর খাদ্যনালী ঠিকমতো প্রস্তুত হয় না এবং দুধ দিলে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে, তখন শিশুকে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। নবজাতককে পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা উচিত। গরমের সময় হলে হালকা কাপড় ব্যবহার করা ভালো। ঘাম যাতে না হয় সে খেয়াল রাখতে হবে। ঘামের কারণে অনেক সময় বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যায়।

বাচ্চাকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথমদিকে শিশু অনেক সময় দুধ পায় না। বুকে দুধ আসতে তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর শিশুকে দুই স্তন থেকেই বারবার টানতে দিতে হবে। টানা একদিকের স্তন থেকে খেলে অন্যপাশের বুক ভারী হয়ে যাবে আর শিশু পর্যাপ্ত দুধ ও পাবে না।

 

অনেক সময় দুধ এত বেশি থাকে যে বাচ্চা সামলাতে পারেনা, তখন গাল বেয়ে দুধ পড়ে যায় আর শিশুর শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এমন হলে টিপে টিপে দুধ বের করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়া যায় এবং পরে শিশুকে ছোট চামচ দিয়ে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। বোতলে বা ফিডারে দুধ খাওয়ার অভ্যাস একদম করা ঠিক না। এই অভ্যাস হলে বুকের দুধ শিশু খেতে চায় না।

 

প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ ছাড়া আর কিছু খাওয়ানো যাবে না। ছয়মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চাকে ধীরে ধীরে অন্যান্য শক্ত খাবার যেমন– ভাত,সবজি,ডাল,মাংস,মাছ,  ডিম এসব খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

 

বাচ্চার মানসিক পরিবর্তনগুলো সময়মত হচ্ছে কি না যেমন ছয়মাস বয়সে বাচ্চা হাঁটার চেষ্টা করছে কিনা বা দেড় দুই বছর বয়স হলে কথা বলার চেষ্টা করছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে। অস্বাভাবিকতা খেয়াল করলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। শিশুর ওজন ঠিকঠাক আছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

 

এছাড়া সময়মতো শিশুর টিকাগুলো দেওয়া হচ্ছে কি না সেদিকও খেয়াল রাখতে হবে। যেকোন অসুখ যেমন বমি,জ্বর, পায়খানা হলে ডাক্তারকে জানাতে হবে  এবং ডাক্তারের উপদেশ ও নির্দেশনা গুলো মেনে চলতে হবে। শিশুর জন্মের পর হতে যদি এইসব দিকগুলো ঠিকমতো মেনে চলা হয় তাহলে আপনার সোনামনি অবশ্যই সুস্থ ও সবল থাকবে।

cl-Hatihatipapa

Sharing is caring!

Comments are closed.