ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকা নবজাতকের বিভিন্ন বিপদসমূহ

নবজাতক শিশু- বাসায় আসার পর কেমন যেন পুরো পরিবারের চেহারাটাই পালটে যায়, তাইনা? সবার আনন্দ, ব্যস্ততা, কাজ-কর্ম সবকিছুই শিশুকে ঘিরে। তাই শিশুর প্রতি বাড়তি নজর, বাড়তি যত্নের কমতি কখনোই থাকেনা। তবে বিভিন্ন সময় কিছু বিষয় বেশিরভাগ সময়ই আমাদের অগোচরে রয়ে যায় যা হঠাৎ শিশুর জন্য কোন নেতিবাচক ঘটনার জন্ম দিতে পারে। কি হতে পারে এমন বিপদসমূহ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • SIDS (sudden infant death syndrome) থেকে শিশুকে রক্ষা করতে শিশুর ঘুমের পজিশন এবং কিসের উপর শিশু ঘুমাচ্ছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখুন। খুব নরম কোন বালিশে শিশুকে যাতে না শোয়ানো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া শিশুকে আলাদা কম্বলের জড়ানোর চেয়ে শিশুদের জন্য ওয়ান পিস আউটফিট ব্যবহার করতে পারে। এবং সবশেষে শিশুর চারপাশে এমন দেওয়াল তৈরি করুন যাতে সে পড়ে না যায়।
  • শিশুকে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াপার পরিয়ে রাখতে হয় কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ডায়াপার এর সাইজ শিশুর সাথে সম্পূর্ণভাবে খাপ খায় এবং শিশুর ডায়াপার পরিবর্তনের দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দিতে হবে।
  • নবজাতক শিশুদের গোসলের ব্যাপারেও সমানভাবে সচেতন থাকতে হবে। আজকাল শিশুদের জন্য বাথসিট পাওয়া যায় যা ব্যবহার করে নিরাপত্তা বজায় রাখা যেতে পারে। এছাড়া পানি যাতে শিশুর মুখে কিংবা নাক দিয়ে না ঢোকে সেদিকেও হেয়াল রাখতে হবে।
  • শিশুর আশেপাশে কিংবা শিশুকে যে বিছানার উপর রাখা হয়েছে তার উপর ভারী কোন বস্তু রাখা উচিৎ হবেনা। এছড়া শিশু গড়িয়ে যেয়ে ব্যাথা পেতে পারে এমন কিছু যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • শিশুকে যদি দোলনায় রাখতে হয় তবে দোলনা এমন স্থানে রাখবেন যাতে করে শিশুদের কোনরকম সমস্যা না হয়। বিশেষ করে জানালার পাশে, ঝুলানো কোন বস্তুর পাশে শিশুকে দোলনায় শুইয়ে রাখবেন না।
  • শিশু যখন একটু বড় হয়ে হামাগুড়ি দিতে শেখে কিংবা টুকটুক করে হাঁটতে শেখে তখন অবশ্যই বাসার সব ক্ষতিকর এবং যা কিছুতে শিশু ব্যাথা পেতে পারে তা সাবধানে রাখুন। কোনভাবেই খোলা, অসাবধান জায়গায় শিশুকে একা রেখে যাবেন না।

collect-Hatihatipapa

Sharing is caring!

Comments are closed.