শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ৭ উপায়
অনেক সময় ছোটখাটো রোগও শিশুদের শরীরে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। এর প্রধান কারণ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খবুই কম। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। এখানে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কয়েকটি উপায় দেয়া হলো-
১. বুকের দুধ খাওয়ানোঃ শিশুদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবার হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। অল্প বয়সের শিশুরা বুকের দুধ থেকেই প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টি পায়। আর সে কারণে মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিকল্প নেই। পাশাপাশি শিশুর বয়স অনুযায়ী অন্য খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
২. নিয়মমাফিক খাদ্যাভ্যাসঃ শিশুদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অভিভাবককে বাচ্চার আজেবাজে খাদ্যাভাস বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন খাবার তালিকায় ফল এবং শাক সবজি রাখুন। ছোটবেলা থেকেই ভালো খাদ্যাভ্যাসে গড়ে নিতে পারলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
৩. পরিমাণমত ঘুমঃ ঘুমের সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনা আপনি উন্নত হতে থাকে। বেশি রাত করে ঘুমানো এবং সকালে বেশি দেরি করে উঠা দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে। বাচ্চাদের জন্য ৯ ঘণ্টার কম ঘুম বেশ ক্ষতিকর। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাচ্চার ঘুমের সময় ঠিক রাখুন এবং প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমানর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪. খাবারে চিনি নিয়ন্ত্রণঃ বেশি চিনি যুক্ত খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই বেশি মাত্রার চিনি যুক্ত খাবার কমালে সুস্থ থাকবে আপনার শিশু।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ শিশুদের জন্য বাড়তি ওজন অনেক ক্ষতিকর। বাচ্চাদের ওজন তার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য বাচ্চাদের উপযোগী কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যেমন- সাঁতার শেখানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি।
৬. . পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর জোরদারঃ বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং গোসল করার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলুন। খাবারের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া, খেলাধুলার পর হাত মুখ ধোঁয়া, এইসব ছোট ছোট অভ্যাস দেহের রোগ সংক্রামণে বাঁধা দেবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৭. হালকা শরীর চর্চাঃ নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের শ্বেত কনিকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই শিশুদের বয়স অনুযায়ী হালকা শরীর চর্চার ব্যবস্থা রাখুন। এতে শরীর ফিট থাকবে। সহজে রোগ জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।