মায়েদের হাঁটুব্যথা ও প্রতিকার
হাঁটুব্যথার কারণ : আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যা, আঘাতজনিত সমস্যায় স্পোর্টস ইনজুরি লিগামেন্ট বা টেন্ডন ইনজুরি, মিনিস্কাস ইনজুরি, প্যাটেলা ইত্যাদি। অনেক সময় কোমরের নার্ভ বা স্নায়ুর কারণে হাঁটুব্যথা হয়। টিউমার বা ক্যানসারজনিত কারণেও হাঁটুব্যথা হতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা : ম্যানুয়াল থেরাপি যা রোগীকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভালো করে। জয়েন্ট জোড়া সঠিক অবস্থানে আনা। এর আরেক নাম মোবালাইজেশন উইথ মুভমেন্ট চিকিৎসা। ম্যানুপুলেশন থেরাাপি ডিপ ফ্রিকশন ও মায়োফেসিয়াল রিলিজ টেকনিক। এটি হাঁটুর উপর ও নিচের মাংসপেশি এবং লিগামেন্ট নরম করে। ফলে হাঁটুব্যথা কমে জয়েন্ট পাতলা অনুভূব হয়। আইসোমেট্রিক বা স্ট্রেনথেনিং এক্সারসাইজ ও স্ট্রেসিং এক্সারসাইজ যা হাঁটুর শক্তি এবং রেঞ্জ অব মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ড্রাই নিডিলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাঁটুর শক্ত মাংসপেশি নরম করা হয়। তাই রোগী সহজে হাঁটু ভাঁজ করতে পারেন, হাঁটু ভেঙে টয়লেটে বসতে ও নিচু হয়ে বসে নামাজ পড়তে পারেন।
হাঁটুব্যথায় করণীয় : হাঁটুর তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বরফ বা ঠা-া সেঁক দেবেন। হাঁটুর তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে গরম সেঁক দিতে হবে। হাঁটু ফোলা থাকলে হাঁটাহাঁটি কম করে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিকেপ ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ ব্যথা হলে পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক : ডা. সাপিয়া আকতার (পিটি)
কনসালট্যান্ট
ম্যানুয়াল অ্যান্ড থেরাপি ম্যানুপুলেশন থেরাপি সেন্টার।