বাচ্চার আচরণগত সমস্যার কারণ
১. একটা পরিবারে বিভিন্ন ঘটনা যেমন, নতুন শিশুর জন্ম নেয়া, কারও দুর্ঘটনা বা মৃত্যু, বাসা বদল, শিশুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোক বদল, স্কুলে ভর্তি হওয়া বা এসবের চেয়েও সামান্য ঘটনা শিশুদের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক শিশুর জন্য এই ধরণের পরিবর্তনকে মেনে নেয়া কষ্টকর হয়ে যায়।
২. শিশুর জন্মের পর থেকেই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। আর সেই পরিস্থিতিগুলোয় আপনি কেমনভাবে আচরণ করছেন তা একদম ছোট থেকেই শিশুদের মাথায় থেকে যাবে। আর এই আচরন দেখে আপনার শিশুও একধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি হয়তো বাইরে বাজার করতে যাচ্ছেন, তখন আপনার শিশু আপনার সাথে যাবার জন্য বায়না ধরল বা কান্নাকাটি শুরু করল। আপনি হয়ত তখন চকলেট খাইয়ে শিশুকে শান্ত করলেন। কিন্তু এমনটা একবার হলে পরে আপনি যখনই বাজার করতে যাবেন তখনই শিশু চকলেটের জন্য আবদার শুরু করবে। ।
৩. আপনার পরিবারে কী ধরণের পরিবেশ বিরাজ করছে তা নিয়ে সতর্ক থাকুন। কারন যখন আপনি রেগে থাকবেন বা আপনার পরিবারের কোন সমস্যা দেখা দিবে তখন শিশুরা খুব দ্রুত তা টের পাবে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে আপনার শিশুর সাথে মানিয়ে নিতে না পারলে শিশুর কাছ থেকে খারাপ আচরণ পেতে পারেন। এসময় নিজেকে দোষ দেবেন না, পাশাপাশি শিশুদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। যেমন আচরণই করুক না কেন কোনভাবেই শিশুদের কথায় প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না।
৪. আপনার শিশুর আচরণ সবসময় একরকম থাকবে না। শিশুরা কেন আর কোন পরিস্থিতিতে বিরূপ আচরণ করছে তা নিয়ে ভাবুন। দরকার হলে আপনার সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন। এমনও হতে পারে আপনার শিশু ক্লান্ত বা ক্ষুধার্ত হওয়ার কারনে বিশেষ কোন আচরণ করছে। কোন কিছু নিয়ে অতি উৎসাহী, হতাশ বা বিরক্ত হয়ে গেলেও শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসে।
টি/আ
CLTD: Womenscorner