বড়দের মতোই শিশুরাও ভোগে বিভিন্ন মানসিক রোগে

শুধুমাত্র বড়রা নয়, শিশুরাও মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ফেরদৌস,বর্তমানে তিনি জেড. এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মানসিক বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

তিনি বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে জিনগত কিছু বিষয় রয়েছে। আর কিছু রয়েছে পরিবার বা পরিবেশগত বিষয়। তবে পরিবার থেকে যে মানসিক বিকাশ হয় এটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এটি গবেষণায় দেখা গেছে। যাকে বলা হয় নিউরো ডেভেলপমেন্টাল, বর্ধনমূলক বা বিকাশমূলক সমস্যা, তবে সেটি মায়ের গর্ভেই হয়।

তবে কী কারণে হয়, সেটি জানা যায় নি। এর মধ্যে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের মধ্যে রয়েছে অটোইজম স্পেকটাম ডিজঅর্ডার, ইন্টালেকচুয়াল ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু, এডিএইচডি ( অ্যাটেনশন হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার), ডিসলেকসিয়া ( আপনি হয়তো কলা বলছেন, উত্তর দিচ্ছে মামা, এটি হলো ডিসলেকসিয়া), আরেকটি হলো ডিসগ্রেফিয়া ( অক্ষর উল্টো করে লেখে)। কারণ, তার মস্তিষ্কের প্রোসেসিং হচ্ছে উল্টোভাবে। এগুলোকে বলে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার।

কিছু রয়েছে হলো মুড ডিজঅর্ডার বা আবেগগত সমস্যা। এটি হতে পারে বিষণ্ণতা। শিশুদেরও বিষণ্ণতা হয়। আরেকটি হলো বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার। আরেকটি হলো বিহেভিয়ারাল ডিসঅর্ডার। আরেকটি অপজিশনাল ডিফাইন ডিজঅর্ডার, এক কথায় বংলা ভাষায় বলি যে চরম বেয়াদব শিশু। শেষ হলো কনডাক্ট ডিজঅর্ডার। এর মানে হলো একদম অবাধ্য, বখে যাওয়া সন্তান। বই অনুযায়ী এভাবেই শিশুদের মানসিক সমস্যাকে ভাগ করা হয়।

কেএস/

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.