হাইপোটনিক শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়াতে করণীয়

হাইপোটনিক শিশু কি? স্নায়ুবিক জনিত সমস্যা যুক্ত শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমনঃ অপরিণত শিশু, Cerebral palsy ইত্যাদি। এই সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের হাইপোটনিক বলা হয়। হাইপোটনিক শিশুদের খুব দুর্বল পেশীর টোন হয়। যার কারণে শিশুর দুধ চুষে খেতে সমস্যা হয়।

করণীয়ঃ দুধ খাওয়ানোর সময় এ ধরনের শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এদের মধ্যে কিছু শিশু কান্নাকাটি করেনা, খাওয়ার চাহিদা প্রকাশ করতে পারেনা, বেশিরভাগ সময়ই ঘুমায়। এ ধরনের শিশুদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৮-১২ বার দুধ চুষে খেতে সাহায্য করতে হবে। অনেক সময় এরকম শিশুরা কখনও পুরোপুরি ঘুম থেকে জাগেনা।

এসময় কিছু কৌশল যেমনঃ

– পায়ের তলায় বা থুতনির নীচে সুঁড়সুঁড়ি দিয়ে জাগানোর চেষ্টা করত্র হবে। তারপরও যদি না জাগে তাহলে শরীর খোলা রেখে মায়ের ত্বকের সাথে বাচ্চার ত্বক লাগালে জেগে উঠতে পারে।

– এ সময় শিশুকে মায়ের স্তনে সঠিকভাবে সংস্থাপনের জন্য মা বা সাহায্যকারী হাত দিয়ে বাচ্চার মুখ বড় করে হা করাবেন। অনেক সময় শিশু ২/৩ বার চোষার পর ঢোক গিলে, চোষা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যায়। মাকে খুব ধৈর্যের সাথে এ ধরনের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হবে।

– স্বাভাবিক শিশুদের দুধ চুষে খাওয়ার সময়ের তুলনায় এসব শিশুদের দুধ চুষে খেতে ২/৩ ঘন্টা বেশি সময় লাগতে পারে। এভাবে আস্তে আস্তে শিশুকে দুধ চুষে খেতে প্রভাবিত করতে হবে।

টি/শা

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.