শিশুর স্বাস্থ্য মোটা বা চিকন হয় কেনো ?
শিশুর স্বাস্থ্য মোটা বা চিকন হয় কেনো ?
১. কিছু বাচ্চা তার বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনদের উচ্চতা ও ওজন পেয়ে থাকে। এরসাথে খাবারের কোন সম্পর্ক নাই।
২. একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাকে খাবার দিলে অভ্যাস হয়ে যায় ঐ সময়টায় খিদে অনুভব করার। কিন্তু যদি, একেকদিন একেক সময় দেন, তাহলে তার শরীরে খিদে তৈরীর কোন সময় পায় না। এতে মোটা বা চিকন হওয়া নির্ভর করে।
৩. চাহিদা বুঝতে হবে। একটা বাচ্চার এক চামচ খেয়েই পেট ভরে যায়। সে হয়তো অল্প করে বারে বারে খাওয়ায় অভ্যস্ত। আবার আরেক বাচ্চা সারাদিনে মাত্র দুইতিন খায়, কিন্তু ভালো খায়। বেশী খাবার দিয়ে বমি করিয়ে কি লাভ? বাচ্চা পরে বমির ভয়ে খেতে চায় না বা ভয় পায়।
৪.যে বাচ্চা সারাক্ষণ ছুটোছুটি করছে তার খাবার হজম হচ্ছে দ্রুত, ক্যালরি বার্ন হচ্ছে, ঘাম দিয়ে পানি বের হয়ে যাচ্ছে। কাজেই মোটা হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
৫. যা খাওয়াচ্ছেন, ব্লেন্ড করে দিচ্ছেন, পেটে থাকছে না, বাচ্চা চিবানো শিখছে না, দাঁত গজাতে দেরী হচ্ছে। শুধু শর্করা জাতীয় খাবার দিলে শরীর বাড়ছে কিন্তু পুষ্টি হচ্ছে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে না, বুদ্ধি তৈরী হচ্ছে না।
৬. কিছু জন্মগত ত্রুটি বা হরমোনের সমস্যা থাকে, কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাচ্চার ওজন এমনিতেই বেশী হয়। এর সাথে খাবারের কোন সম্পর্ক নাই।
৭, সারাক্ষণ ট্যাব, টিভি, মোবাইল নিয়ে বসে আছে যে বাচ্চা, স্কুলের হোমওয়ার্ক, টিচারের কাছে সারাদিন পড়ছে এসবই তাকে করতে হচ্ছে বসে বসে। নড়াচড়া কম, ক্যালরি তেমন খরচ হচ্ছে না। ফলে ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
৮. সারাক্ষণ বাইরের খাবার, চিপস, চকলেট, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানি এসব খেলে শরীরে মেদ জমবেই। ফলে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট, হাড় নরম হয়ে যাওয়া, বদহজম, পাতলা পায়খানা, পরবর্তীতে এ্যাজমা, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক জাতীয় রোগের ঝুকি বেড়ে যাচ্ছে।
কে/এস
CLTD: Womenscorner