বাচ্চার সকালের নাস্তা কিরকম হওয়া উচিত?

সকালের নাশতা শিশুদের জন্য খুবই জরুরি। সারা রাত না খেয়ে থাকার পর সকালের নাশতা স্বাস্থ্যকর ও পর্যাপ্ত হওয়া উচিত। শিশুর জন্য সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিনঃ

১. শিশুর খাবার সেটা যেকোনো বেলার হোক, ছোটবেলা থেকেই একটা নিয়মেয় মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এক বছর বয়স থেকেই শিশুকে অল্প করে হলেও নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত।

২. সকালে ঘুম থেকে উঠে শিশুকে মুখ ধুয়ে প্রথমেই একটু পানি খেতে দিন। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাশতা শেষ করা ভালো।

৩. শিশুর বয়স অনুযায়ী সকালের নাশতার মেন্যু নির্বাচন করতে হবে। যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের নাশতার মেন্যু হবে এক ধরনের। আবার এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের নাশতা হবে ভিন্ন। এক বছর পর থেকে শিশুদের সারা দিনে ১ হাজার কিলোক্যালরি প্রয়োজন হয় এবং প্রতিবছর এই চাহিদা ১০০ কিলোক্যালরি করে বাড়তে থাকবে। সারা দিনের কিলোক্যালরির ৪ ভাগের ১ ভাগ অথবা কিছু বেশি সকালের নাশতায় অবশ্যই পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ এক বছর বয়সী শিশুর জন্য সকালের নাশতায় থাকা উচিত ২৫০-৩০০ কিলোক্যালরি। এই চাহিদা মেটাতে নাশতার মেন্যুতে থাকতে পারে ১টি ডিম, ১টি হাতে বানানো রুটি দিয়ে সবজির রোল, ২৫০ মিলিলিটার দুধ ও ১টি ছোট কলা।

৪. একবারে খেতে না চাইলে এই খাবার শিশুকে দুই ভাগে দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং মিড মর্নিং অর্থাৎ সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরেকবার দেওয়া যেতে পারে।

৫. প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে নাশতায় বৈচিত্র্য রাখলে শিশুরা আগ্রহ নিয়ে খাবে। সে ক্ষেত্রে রুটি-সবজি রোলের পরিবর্তে একদিন সিরিয়াল, ডিম, দুধ, কলা, একদিন ডিম, আটা, চিনি ও দুধ দিয়ে বানানো প্যানকেক এবং কলা দেওয়া যেতে পারে।

৬. প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম না দিয়ে একদিন ডিম তেলে ভেজে দিতে পারেন। ডিম ভাজার সময় ওপরে একটু চিনি ছিটিয়ে দিলে সুন্দর বাদামি রং হবে আর খানিকটা গ্লুকোজও যোগ হবে। আবার হয়তো একদিন ডিম ও দুধ দিয়ে পুডিং হতে পারে।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.