শিশুর খাবারের রেসিপি,কলিজার খিচুড়ি (উপাদান ও পুষ্টিমানের চার্টসহ)

রেসিপির বর্ণনা এবং পুষ্টিগুণঃ কলিজার খিচুড়ি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি খাবার। এই রেসিপিতে কলিজা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে উচ্চ মানের পুষ্টি উপাদান যেমন – আমিষ, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-এ ও প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি বিদ্যমান থাকে।

অন্যান্য মৌসুমি রঙিন সবজি যেমন- মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।

প্রস্তুতকৃত খাবারের ওজনঃ ২১০ গ্রাম (৩/৪ বাটি)

পরিবেশনের সংখ্যাঃ ৩

খাবার প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় সময়ঃ ৩০ মিনিট

আয়রনের উৎসঃ মসুর ডাল, কলিজা।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

১. মুরগির কলিজা ভালো মতো পরিষ্কার করে, ধুয়ে ছোট করে কেটে নিতে হবে।

২. চাল এবং ডাল ভালো মতো পরিষ্কার করে ফুটানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভালোমতো পানি ঝরিয়ে নিন।

৩. সব শাকসবজি এবং পেঁয়াজ ভালোমতো ধুয়ে কেটে নিন।

৪. একটি রান্নার পাত্রে তেল গরম করুন, তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা দিন।

৫. পেঁয়াজ এবং মসলা সামান্য ভেজে এতে চাল-ডালের মিশ্রণ ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ অনুযায়ী হলুদ গুঁড়া এবং সামান্য লবণ যোগ করুন। অল্প আঁচে কিছুক্ষণ (১-২ মিনিট) নাড়াচাড়া করুন।

৬. চালডাল সামান্য ভাজা হলে এতে প্রয়োজনমতো পানি ( সম্ভব হলে গরম পানি ) যোগ করুন। এবং রান্না হওয়ার জন্য পাত্রটি একটি পরিষ্কার ঢাকনা দিয়ে থেকে নিন।

৭. চাল এবং ডাল অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে এতে সবজিগুলো এবং টুকরা করা কলিজা সব একসাথে ঢেলে দিন। সামান্য নেড়ে দিন যাতে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশে যায়। পাত্রটি আবারো ঢেকে দিন।

৮. সবগুলো উপকরণ ভালো মতো সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে খিচুড়ি চামচ দিয়ে সামান্য চটকে নরম করে নিন এবং শিশুকে পরিবেশন করুন।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.