সন্তান গুটিয়ে থাকে, মিশতে পারে না? করে তুলুন স্মার্ট ও চনমনে
বাড়ির পরিচিত পরিসরে সে চনমনে, প্রাণোচ্ছল। অথচ বাইরের লোকজনের সামনে এলেই গুটিয়ে যায়। এমনকি, কোন অসুবিধা হলেও মুখ থেকে রা সরে না। খেলতে যাওয়া, অন্যদের সঙ্গে গল্প করা সবেতেই কেমন যেন গুটিয়ে থাকে। একমাত্র আপনার সন্তানেরই এমন স্বভাব আছে তা কিন্তু নয়। বরং এই ধরনের জটিলতা ঘিরে ধরে আজকাল অনেক শিশুকেই।
তাই এই সমস্যা থেকে তাকে বার করুন এখনি। তবে তার একার চেষ্টায় নয়, এই জার্নিতে তার পাশে থাকুন আপনিও। নজর দিন এসবে।
সন্তানকে মিশতে দিন: অনেক অভিভাবক তার সন্তানকে কাছ ছাড়া করেন না। যে কোন অনুষ্ঠান বাড়ি বা বেড়াতে গিয়ে ও সব সময় সন্তানকে কিছু না কিছু দিয়ে চোখের সামনে বন্দি করে বসিয়ে রাখেন। কোন কোন অভিভাবক আবার সন্তানদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে এলে ও সামনে জরিপ করতে থাকেন। এতে সন্তানের ভিতরে ভয় কাজ করে। তাই নিজের সব উত্তর না দিয়ে বরং সন্তানকে সাহায্য করুন গুছিয়ে উত্তর দিতে। চোখের সামনে রেখেও সকলের সঙ্গে সাবলীল ভাবে মিশতে দিন।
অভিযোগ নয়: সন্তানের সামনে তার নেতিবাচক দিক নিয়ে হাসি ঠাট্টা মশকরা একেবারেই নয়। অতিরিক্ত রাগ দেখালেও চলবে না। অন্তর্মুখী শিশু অনেক সময় বাইরে মিশতে পারে না। বন্ধুরা মেলামেশা করতে পারলেও সে হয়ত দলে থেকেও সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। এমন সময় তার সম্পর্কে অন্যের কাছে নেগেটিভ মন্তব্য করবেন না। বরং সে যাতে সকলের সঙ্গে আলাপ করতে চায়, বন্ধুত্ব করতে পারে সে ক্ষেত্রে নিজেই এগিয়ে আসুন।
উত্তর দিতে দিন সন্তানকে: অচেনা কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে অনেক সময় অনেক শিশুই তার উত্তর দিতে চায় না। এক্ষেত্রে অনেক মা-বাবাই তার জড়তা ঢাকতে বা শিশুকে উত্তর না দিতে দিয়ে নিজেই জবাব দেন। এমন করলে শিশু কোনদিনও মেশার পরিবেশ পাবে না।
পারফর্ম করার চাপ নয়: সন্তানের কোনো বিশেষ গুণ থাকলে তা বাইরের কারো সামনে প্রকাশ করার অভ্যাস ছোট থেকে তৈরি হওয়া ভালো। এতে মেশার ক্ষমতার সঙ্গে এসেই গুণ নিয়ে জড়তাও কাটে, তবে তা যদি নিজে চায়, তবেই। অকারনে চাপ দিয়ে জোর করে পারফর্ম করাবেন না।
খেলতে দিন: বাড়ি বন্দি করে না রেখে প্রতিদিন তাকে বাইরের আরো কয়েকজন শিশুর সঙ্গে মিশতে দিন। কোন খেলার মাঠ বা পার্ক থাকলে সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে খেলতে দিন। প্রথমদিকে জড়তা থাকলেও একসময় সে নিজেই মিশতে শুরু করবে অন্যদের সঙ্গে।
বুদ্ধি খরচ: শিশুর মেলামেশার জড়তা আছে বুঝলে টুকটাক দায়িত্ব তাকে এগিয়ে দিন। বাড়িতে অতিথি কেউ এলে তাকে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দেওয়া বা দোকানে গেলে কোন কিছুর দাম জানতে চাওয়া, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা কে নিজের সুবিধা-অসুবিধার অন্তত বেসিক টুকু জানিয়ে রাখা, এগুলোকেই এগিয়ে দিন। নিজে দূরে থেকে পাহারা দিন সন্তানকে। ধীরে ধীরে ভয় কাটবে এতে।
CLTD: Womenscorner