শীতে বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে বাঁচাতে জানুন
শীতে বাচ্চাদের নাক দিয়ে পানি গড়ায়, হাঁচি হয়, কাশি ও হতে পারে। এমন কি হতে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই এই সময়টায় অভিভাবকদের থাকতে হবে সতর্ক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন উপায় বাচ্চাদের এই সমস্যা থেকে দূরে রাখা যাবে-
১. শীত কাপড়: শীত পড়লে প্রথমেই বাচ্চার গরম কাপড়ে জোর দিন। বিশেষত বেশি ঠান্ডায় বাচ্চার মাথায় টুপি ও পায়ের মোজা পড়াতে হবে। গায় পরান হালকা কাপড়। তবে খেয়াল রাখবেন বাচ্চার যেন খুব গরম না লাগে। বাচ্চা ঘামলে, কাঁদলে কাপড়ের ভার কমান।
২. বাচ্চার হাত পরিষ্কার: বাচ্চারা কথায় কথায় মুখে হাত দেয়। তাই আপনাকে অবশ্যই মাঝে মাঝেই বাচ্চার হাত পরিষ্কার করে দিতে হবে। তবে জীবাণুর হাত থেকে পাওয়া যাবে মুক্তি। আরেকটু বড় বাচ্চার অভিভাবকরা বাচ্চাকে হাত ধোয়ার অভ্যাস শিখে নিন।
৩. বাচ্চার খেলনা পরিষ্কার রাখুন: বাচ্চার খেলনায় মিশে থাকতে পারে জীবাণু। তাই খেয়াল না গরম পানিতে মাঝে মাঝেই পরিষ্কার করুন। তবে খেলনার উপর থেকে সরানো যাবে জীবাণু।
৪. নিজের হাত পরিষ্কার করুন: আপনি বাচ্চাকে ধরছেন। তাই আপনার হাতে জীবাণু থাকলে তো বাচ্চার কাছেও সেই জীবাণু পৌঁছে যাবে। তাই নিজের হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে বাচ্চাকে ধরুন।
৫. অসুস্থ মানুষের থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন: বাড়িতে কারো ঠান্ডা লাগলে বাচ্চাকে তার সামনে নিয়ে যাবেন না। তাকেও বাচ্চার সামনে আসতে বারণ করুন। তবে বাচ্চার মায়ের ঠান্ডা লাগলে তখন আর এই বাধা চলবে না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলতে হবে।
৬. টিকা: বাচ্চার টিকা তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট অসুখের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। তাই আপনাকে বাচ্চাটিকে একেবারে সময় দিতেই হবে। কোন অজুহাত চলবে না।
৭. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: কোন কারণে বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে নাক দিয়ে পানি গড়ালে আর অপেক্ষা নয়। একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ সময়টা করোনার। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।
CLTD: Womenscorner