নতুন মায়েদের ঘুমের সমস্যা দূর করার জন্য ৬ টি পরামর্শ
নিজের যত্ন
নবজাতকের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক দায়িত্বের চিন্তা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। মস্তিষ্কের স্ট্রেস হরমোনগুলো আপনাকে জাগিয়ে রাখে। আপনি সদা প্রস্তুত থাকতে চান আপনার শিশুটির যে কোন প্রয়োজনের জন্য। বাচ্চাকে বিছানার পাশের আলাদা কটে ঘুম পাড়ান। নিজের দিকে একটু যত্ন নিন। নিজেও ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আপনার শিশুটি যখন ঘুমিয়ে আছে তখন নিজেকে সময় দিন। ভাল একটি নাটক দেখুন, গল্প করুন, ম্যাগাজিন বা গল্পের বই পড়ুন। মনকে শান্ত করুন।
শান্ত হোন
দিনের বেলা টিভি, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট দিয়ে নিজেকে কিছুটা রিল্যাক্স করা যায় কিন্তু রাতে আপনার অভ্যন্তরেই কাজ করতে থাকে আপনি কখন ঘুমিয়ে পড়বেন আর বাচ্চাটি জেগে আপনাকে পাবে না। নিজেকে বোঝান যে, বাচ্চাটি যেহেতু এখন ঘুমাচ্ছে আপনাকেও এখনই ঘুমিয়ে নিতে হবে। তাই, টিভি বন্ধ করুন, মোবাইলও বন্ধ করুন। ঘুমিয়ে পড়ুন। শিশুটি তার প্রয়োজনমত জেগে উঠবে আর তার কান্নার শব্দে ঠিকই জেগে উঠতে পারবেন। চিন্তার কিছু নেই।
ক্যাফেইন
আপনি হয়ত রাতে ১ মগ কফি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সেই কফির ক্যাফেইনের প্রভাব থাকে ৮ ঘন্টা অব্দি। একটি নবাগত শিশুকে সামলাতে সারাদিনে নিশ্চই অনেক ধকল বয়ে যায় আপনার উপর দিয়ে। ক্যাফেইন জাতীয় কিছু খেয়ে আরও অন্যায় করবেন না নিজের সাথে। এক গ্লাস ফ্রেশ ফলের জুস খান আর ঘুমোতে চেষ্টা করুন।
পরিবারের অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন
পরিবারের বড় কাউকে কিছু সময়ের জন্য দায়িত্ব দিন। অবশ্যই বিশ্বস্ত কাউকে দায়িত্ব দেবেন। আপনি মা বলে আপনাকেই শিশুর সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং একা একা সব সামলাতে গিয়ে আপনি নিজের এবং শিশুর উভয়েরই ক্ষতি করছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তার ঘনিষ্টতা বিঘ্নিত হচ্ছে। আর এটা বাস্তবসম্মতও নয়। তাই মা, শ্বাশুড়ি বা স্বামী কারও দায়িত্বে তাকে রেখে নিজে একটু ঘুমান।
ঘুমের উপযোগী বিছানা
আমাদের দেশের মায়েরা ভাবতেই পারে না যে তাদের শিশুটি আলাদা বিছানায় ঘুমাবে। নিজের বিছানায় শিশুর ঘুমানোর আয়োজন করতে গিয়ে তারা নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য পুরোই নষ্ট করে ফেলেন। যৌন জীবনকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলেন। অথচ শিশুটিকে আলাদা বেবি কটে রাখলে তারও শান্তি, আপনারও শান্তি। এতে সে পড়ে যাবে না। আপনার বা তার বাবার হাত পা অসচেতনভাবে লাগার সম্ভাবনা থাকবে না। সর্বপোরি, আপনার স্ট্রেস কমবে, একটু ঘুমাতে পারবেন।
নিজের সাথে সহজ হোন
আপনি যা যা অসুবিধা বোধ করছেন তা সকল নতুন মায়েরাই বোধ করেন। নিজেকে অযথা দোষারোপ করবেন না। একইভাবে দোষ আপনার শিশুরও নয়। পারফেক্ট মা হওয়ার চেষ্টায় বেশী স্ট্রেস নেবেন না। সাহায্য নিন। স্বামী, আত্মীয় স্বজনের সাহায্য তো নেবেনই। প্রয়োজনে থেরাপিস্ট এর সাহায্য নিন। থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া মানে এই নয় যে আপনি মানসিক রোগী। আপনার সাহায্য প্রয়োজন। বিশ্বাস করুন, সব নতুন মায়েদেরই এই সাহায্য প্রয়োজন হয়।