বিভিন্ন বয়সে শিশুর খাদ্য তালিকা

জন্মের পর থেকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর জন্য মায়ের দুধ’ই যথেষ্ট। এসময়ের শিশুকে অন্য কোনো খাবার দেয়া উচিত নয়। পাঁচ মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।

যদিও পাঁচ মাসের পর মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ কমে যায় না। তবে এ সময় শিশুর বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তার শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হয়। শিশু অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খেতে পারে।

জন্ম থেকে পাঁচ মাস:

– জন্মের পর পরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ দিতে হবে।

– শিশু যতবার কাঁদবে তত বার তাকে মায়ের দুধ খেতে দিতে হবে।

– দুধ দেওয়ার আগে ভালো করে স্তনের বোটা
পরিষ্কার করে শিশুর মুখে দিতে হবে।

– বুকে পর্যাপ্ত দুধ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মেটোক্লোপ্রামাইড সেবন করলে বুকে দুধ বাড়বে।

তাতেও কাজ না হলে কিংবা কোনো কারণে শিশুকে বুকের দুধ দেওয়া সম্ভব না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।

– চার মাস বয়সের পর থেকে শিশু কিছুটা শক্ত খাবার হজম ক্ষমতা অর্জন করে। তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নেবেন।

ছয় মাস থেকে দুই বছর:

– শিশুকে দিনে চার-পাঁচবার খাওয়াবেন। সাধারণত সকাল ৬টায়, সকাল ১০টায়, দুপুর ২টায়, সন্ধ্যা ৬ টায় ও রাত ৯টায় বা ১০ টায় খাওয়াবেন। প্রতিবারের শিশু পাঁচ থেকে আট আউন্স খাবে।

– সকাল ৬টায় দুধ। সুজি বাঁ চালের গুড়ার সঙ্গে মিশিয়ে ঘন করে রান্না করা দুধ।

– সকাল ১০টায় – ডিম, হালুয়া, খিচুড়ি, পায়েস, ফলের রস ইত্যাদি।

– দুপুর ২টায় ভাত, মাছ , গোশত, শাকসবজি, ই। শিশু খাবার শেষে দুধ খেতে চাইলে দুধ।

– সন্ধ্যা ৬টায়ঃ সকালে ১০ টার মতো।

– রাত ৯-১০ টায়ঃ সকাল ৬টার মতো।

– শাক সবজির মধ্যে শিশু যেসব শাকসবজি খাবে তা হল গাজর, আলু, টমেটো, শিম, বরবটি, লাউ, বেগুন, কাঁকরোল, ঝিঙে, পটোল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, লেটুস, লালশাক, কুমড়ো শাক, লাউশাক ইত্যাদি।

– শিশুকে যেসব ফলমূল খাওয়াবেন তা হলো কলা, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, আঙুর ইত্যাদি।

দুই বছর থেকে পাঁচ বছর:

– দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা বড়দের সব খাবার খেতে পারবে। তাকে দিনে চার-পাঁচবার খাওয়াতে হবে। এসময় খাদ্যে ক্যালোরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

দুই বছরের শিশুর খাদ্যে ১৩০০ কিলোক্যালরি, তিন বছরের শিশুর খাদ্যে ১৫০০ কিলোক্যালরি, চার বছরের শিশুর খাদ্যে ১৬০০ কিলোক্যালরি এবং পাঁচ বছরের শিশুর খাদ্যে ১৭০০ কিলোক্যালরি থাকা জরুরি।

– সকাল ৭ টা – ডিম, রুটি, ভাজি, হালুয়া, খিচুড়ি বা ডাল রুটি। শেষে দুধ ও ফলমূল।

– দুপুর ১২ টা- ভাত, মাছ, গোশত, ডাল, শাকসবজি। শেষে দুধ খেতে চাইলে দুধ।

– বিকেল ৫ টাঃ সকাল ৭টার মতো।

– রাত ৯-১০ টাঃ দুপুর ১২টার মতো।

– দিনে পাঁচবার খাওয়াতে চাইলে সকাল ৭ টায় নাস্তা দেওয়ার পর সকাল ১০ টায় আবার নাস্তা দেবেন। তারপর দুপুরের খাবার দেবেন ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.