শিশুর শারিরীক ও মানসিক বিকাশে করণীয়

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বুদ্ধির বিকাশে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুকে নিজের ইচ্ছা, প্রভাব স্বপ্ন চাপিয়ে দিবেন না।

গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিন: যেহেতু শিশুর বুদ্ধির বিকাশের ৭০ ভাগ মায়ের গর্ভকালীন থাকা অবস্থায় শুরু হয়, তাই গর্ভকালীন মাকে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক চাপমুক্ত এবং হাসি খুশি রাখুন।

শিশুর ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বিশেষ যত্ন নিন: শতভাগ বিলিয়নের বেশি নিউরন নিয়ে একটি মানব শিশুর জন্ম হয়। শিশুর বুদ্ধি বিকাশ যেহেতু মস্তিষ্কের নিউরন এর ওপর নির্ভরশীল এবং এই নিউরনের বৃদ্ধি শুধু গর্ভকালীন ও প্রথম পাঁচ বছরই সম্পন্ন হয়, তাই এই সময়গুলোতে শিশুর চাই বিশেষ যত্ন।

শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন: মস্তিষ্কের সক্রিয় ও সতেজ রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবেন। মেধা নষ্ট করে এমন ক্ষতিকর খাবার বাদ দিয়ে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আসিড, বেশি করে প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

মেধার বিকাশে শিশুর চাই পর্যাপ্ত ঘুম: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে অপর্যাপ্ত ঘুম শিশুর বুদ্ধি বিকাশের বিঘ্ন ঘটায়, তাই শিশুর মেধা বিকাশে পর্যাপ্ত ঘুমের নিশ্চয়তা করুন।

CLTD: womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.