শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অভিভাবকের সচেতনতা জরুরি!

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু বিষয় বাদ দেওয়া উচিত এবং অভিভাবককে কিছু বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

অভিভাবক: শিশুর মাঝে রাগ, ক্ষোভ, হিংসা ইত্যাদি থাকাটা স্বাভাবিক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা শেখাতে গিয়ে তাদের ওপর জোর না খাটিয়ে বরং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা ও সু নিয়ন্ত্রিত আচরণ করা শেখানো প্রয়োজন।

অন্যদের সঙ্গে শিশুকে তুলনা করবেন না। আপনি যে তাকে উন্নত করতে চাচ্ছেন এটা তার পক্ষে এই বয়সে বোঝার সম্ভব নয় বরং তার মনে হবে, যদি সে অন্যের মতো আচরণ করে তাহলে তার বাবা-মা তাকে ভালবাসবে। হঠাৎ ভালবাসার মাঝে শর্ত এসে দাঁড়াবে যা মোটেও ঠিক নয়।

বিদ্যালয়: শিশু স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্যালয়ে যদি মূল্যবোধের ক্লাস থাকে তবে তা শিশুর মানসিক ও বোধগত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ রাখে।

পারিবারিক কাউন্সেলিং: বাবা মাকে সামনে রেখে শিশুকে কাউন্সেলিং করা যেতে পারে। এতে করে সন্তানের সমস্যাগুলো বুঝতে পারবে ও কিভাবে তার সমাধান করা যায় তার সঠিক উপায়ও বের করতে পারবে।

মনোচিকিৎসা: শিশুর সমস্যা এড়াতে নানান থেরাপি দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুর ওপর মনো চিকিৎসায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

ওষুধ: মানসিক সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার মতই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোন পরিস্থিতিতে অবহেলা করা যাবে না।

CLTD: womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.