শিশুর বিকাশে কোন কোন বাদাম দিবেন?
সব বাদামই পুষ্টিগুণে ভরা। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে দেওয়া যাবেনা শিশুকে। ৬ মাস পার হলেই অল্প করে বাদাম দিতে পারেন। তবে খুব সামান্য দিয়ে দেখুন এলার্জি বা হজমে সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি না হয় তবে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান। বিভিন্ন রান্নায় বাদাম গুঁড়া বা পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
– কাজুবাদামে রয়েছে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন। হজমে সহায়ক এই বাদাম। গুড়া, পেস্ট অথবা বাটার বানিয়ে শিশুকে দিতে পারেন কাজুবাদাম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।
– আমন্ডের বাদামের খোসা শিশুর জন্য ভীষণ উপকারী। সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালের নাস্তায় শিশুকে দিতে পারেন আমন্ড। ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চমৎকার উৎস আমন্ড। দুধের সঙ্গে আমন্ড করেও দিতে পারেন শিশুকে।
– শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের সাহায্য করে আখরোট। আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক ও কপার মেলে এটি থেকে। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফাইবার ও প্রোটিনের উৎস আখরোট। রাতে একটি আখরোট ভিজিয়ে রেখে পরদিন পড়ে অথবা হালুয়ার সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
– স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের আরেকটি চমৎকার উৎস চিনাবাদাম। কপার, জিঙ্ক, আয়রন এর মত উপাদান গুলো পাওয়া যায় বাদাম থেকে। পিনাট বাটার দিতে পারেন শিশুকে।
– পেস্তাবাদামেও মেলে আয়রন, ভিটামিন কে, জিংক ও ফাইবার। শিশুর জন্য তৈরি পুডিং ও হালুয়াতে মিশিয়ে দিতে পারেন পেস্তা বাদাম।
CLTD: Womenscorner