শিশুকে ঘরের কাজ শেখান!

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের কাজ শেখানো উচিত। কিভাবে কথা বলবে? কিভাবে সবার সঙ্গে মিশবে? লেখাপড়া শুরুর প্রাথমিক ধাপ ও শুরু হয় ছোটবেলা থেকে। আর শিশুর বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঘরের কাজ শেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সংসারের কাজে হাত লাগানোর অভ্যাস শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করে। এ কারণে বাড়ির ছোটখাটো কাজে শিশুকে উৎসাহিত করুন।

শিশুকে একদম ছোট বয়স থেকেই কাজ শেখান। অন্তত নিজের বিছানা বা পড়ার টেবিল গোছানোর দায়িত্ব যে তারই এটা বুঝান। সঙ্গে কাজে আগ্রহ দেখালে প্রশংসা করুন।

সপ্তাহে অন্তত একদিন, সময় নির্দিষ্ট করে দিন কাজের জন্য। তাকে বুঝিয়ে বলুন এই বাড়িটা তারও। ফলে সেটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তারও যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।

প্রথমে হয়তো শিশু কাজ করতে চাইবে না। তাই বকাবকি করে কোন সমাধান হবে না। বরং নিজেরা বাড়ির ছোট ছোট কাজ করুন তার সামনে। দেখিয়ে দিন, কোন কাজটি কিভাবে করতে হয়। আপনাদের দেখেই সে ধীরে ধীরে শিখবে।

একদম ছোট শিশুকে (২-৩ বছর) খেলার পরে খেলার ছলে খেলনা গুছিয়ে রাখার শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত তাড়াতাড়ি খেলনা গুছিয়ে ফেলা যায়, সেটা মজার একটা খেলা হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন। এতে নতুন কাজ শেখার প্রতি শিশু উৎসাহ তৈরি হবে।

এছাড়াও খাওয়ার পর প্লেট বেসিনে রেখে আসা বা টেবিলে পানি ফেললে তা কাপড় দিয়ে মোছার কাজও শেখাতে পারেন। এতে শিশুর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বোধ তৈরি হবে।
একটু বড় হলে (৬-৮ বছর) ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা গোছানো, পছন্দের রং অনুযায়ী আলমারিতে জামা কাপড় সাজিয়ে রাখা, বাড়ির বয়স ও সদস্যদের জন্য চা-কফি দিয়ে আসা বা ডোরবেল বাজালে দরজা খুলে দেওয়া ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব দিতে পারেন।

একসঙ্গে কাজ করার মজা কত, সেটা ছোট থেকেই শিশুকে শেখান। গাড়ি পরিষ্কার করায় হোক বা বাগানে পরিচর্যা, সপ্তাহে অন্তত একটা কাজ সপরিবারে করার চেষ্টা করুন। তাহলে শিশু কাজ শেখার পদ্ধতি ও উপভোগ করবে এবং সহযোগিতার মূল্য শিখবে।

একসঙ্গে কোথাও পিকনিকে যাচ্ছেন? বেড়ানোর পরিকল্পনায় শিশুকেও সামিল করুন। ব্যাগ গোছানো বা জামা কাপড় ভাঁজ করে রাখার কাজে তাদের সাহায্য নিন।

কারোর যদি একের বেশি সন্তান থাকে, তাহলে যে বড় তাকে ছোট বোন বা ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে উৎসাহ দিন। যেমন, ভাই ও বোনকে ঘুম পাড়ানো, কিংবা সময় মতো ঘুম থেকে তুলে দেওয়া বা আপনি যখন কোন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বা একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন তখন ভাইবোনদের সঙ্গে খেলা করে তাদের ভুলিয়ে রাখা।

আরেকটু বড় হলে ভাই বা বোনকে হোমওয়ার্কে সাহায্য করতেও বলতে পারেন। এতে তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। ভাই বোনের সম্পর্ক দৃঢ় হবে।

CLTD: womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.