দুষ্ট সন্তানকে বাধ্য করবেন যেভাবে
যেসব বাবা মায়েরা চাকরি করেন, তাদের ছোটো বাচ্চা সামলাতে গিয়ে ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটে থাকে। বিশেষ করে যদি সে বাচ্চা কথা না শুনতে চায়, তাহলে মারধর করে কথা শোনানোর চেষ্টা করেন।
যেসব বাচ্চারা কথা শুনতে চায় না, তাদের খুব ভালো করে বোঝা দরকার। আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে, কেন এ রকম ব্যবহার করছে বাচ্চাটা। লাঠি হাতে তাড়া করার আগে, এইসব উপায়গুলো দেখুন।
বোল্ডস্কাই থেকে দেওয়া হলো এ রকমই কিছু উপায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চারা অন্যদের কথা শুনতে চায় না, কারণ তারা নিজেদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চায়। তাই এ রকম একটা পরিস্থিতি সামলাতে হলে, দেখুন পাঁচটা উপায়, কি করে এদের বোঝাবেন।
বাচ্চাটিকে ডেকে কথা বলুন
যদি আপনি দেখেন যে বাচ্চাটি আপনার কথা শুনছে না, তাহলে উঠে দাঁড়িয়ে, কড়া গলায় তাকে ডাকুন ও কথা শোনানোর চেষ্টা করুন। সহজভাবে বাচ্চাকে বোঝান, কারোর কথা শোনার প্রয়োজনীয়তা। এতে হয়ত ওর কথা না শোনার জেদ কমবে এবং অন্যদের সম্মান দিতে শিখবে। এটা একটা খুব ভালো উপায়, বাচ্চাদের বাবা মায়ের কথা শোনার অভ্যাস করানো।
ওকে বিভিন্ন সুযোগগুলো দিন
যদি আপনি চান, বাচ্চাদের কথা শোনাতে, তাহলে তাকে বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায়গুলোও দিন। খেয়াল রাখবেন, এই সব উপায়গুলো যেন এতটাই আকর্ষণীয় হয়, যাতে সে কথা শুনতে বাধ্য হয়।
দৃঢ়তার সঙ্গে বলুন
শুধু গলা তুলেই শাসন করলে হয় না। এমন জিনিস করুন যেটা আপনার বাচ্চা মানে বোঝে। এমন ব্যবহার করুন, যাতে বাচ্চা বুঝতে পারে বাড়িতে কার কথা চলে এবং কে বড় বাড়িতে।
শোনার পদ্ধতি মজার করে তুলুন
যেহেতু বাচ্চাটা এখনও ছোটো, তাকে শোনানোর পদ্ধতিতে কিছু মজা, কৌতুকের উদ্রেক করুন, যাতে তার শুনতেও ভালো লাগে। একটা ভালো উপায় হলো, তার সঙ্গে শোনা নিয়ে একটা খেলা খেলা ভাব করুন। যাতে সে শোনার দরকারটা বুঝতে পারে।
বারবার একই জিনিস বলা বন্ধ করুন
বাচ্চার নাম ধরে বারবার ডেকে, তাকে শোনানোর চেষ্টা করা খুব একটা কাজের হবে না। একটা ভালো উপায় হলো যখন সে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চায়, না শোনার অভিনয় করুন। এর ফলে সে বুঝবে, না শোনার মানে কি এবং আপনি কি বোঝাতে চাইছেন।