সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে মা বাবার ভূমিকা

সন্তান প্রতিপালন আজকাল মা-বাবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সন্তানকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ আজকাল ছেলে মেয়েরা একটু বেশি স্বাধীনতা চায়, আর তারা একটু বেশি সংবেদনশীল। তাই প্রত্যেক মা-বাবাই সন্তান প্রতিপালনে কিছু কথা মেনে চলা উচিত। যেমন-

সন্তানকে নিয়ন্ত্রিত আবেগের সঙ্গে লালন পালন করা: মা বাবা সন্তানকে খুব বেশি ভালবাসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সে ভালোবাসা যেন তার নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকারক না হয় তা মনে রাখা উচিত।

অধিক শাসন করা থেকে বিরত থাকুন: কখনোই সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত শাসন কাকে আপনার থেকে দূরে ঠেলে দেয়। আর সে আপনার কাছে সব কিছু লুকানোর চেষ্টা করবে যা হয়তো আপনার সন্তানকে নিয়ে যেতে পারে কঠিন পরিণতির দিকে।

বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন: আপনি হতে পারেন আপনার সন্তানের সবচেয়ে প্রিয় আর বিশ্বস্ত বন্ধু। অবসর সময়ে তার সঙ্গে আড্ডা দিন। খোঁজখবর নিন তার লেখাপড়ার সহপাঠীদের সম্পর্কে। মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। তাহলে সে আপনার সঙ্গে সহজ হতে পারবে আর সবকিছু শেয়ার করতে পারবে।

বড়দের শ্রদ্ধা আর ছোটদের স্নেহ করতে শেখান: আপনার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের আদর করতে শেখান। আরে শিক্ষাটি তার পরিবার থেকেই শুরু করুন। পরিবারের বড়দের কথা মেনে চলা, ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে জিনিসপত্র শেয়ার করা।

শৃঙ্খলা মেনে চলতে শেখান: সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিন নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে। অনেকেই এটাকে পরাধীনতা মনে করে। আসলে নিয়ম মেনে চলা পরাধীনতা নয়। শৃঙ্খলা মানে হচ্ছে জীবনকে গুছিয়ে চলা, যা জীবনকে আরো সুন্দর ও পরিপাটি করে তোলে।

সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন: ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন। কখনোই সন্তানকে অন্যায় করতে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয় কারণ অন্যায়ের পরিণতি সব সময় খারাপ হয়।

সন্তানকে যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন: অনেক বাবা-মা আছেন যারা অতিরিক্ত আবেগ কে ভুলে যান যে তার সন্তান শুধু পারিবারিক গন্ডিতেই জীবন পার করবে না। তাকে বড় হয়ে অনেক কিছু সামাল দিতে হবে। তাই আপনার সন্তানকে স্বাবলম্বী ও যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।

cl: womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.