আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি উপায়

আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি উপায়

শিশুর ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক বাবা-মা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। যদিও শারীরিক শান্তি কিংবা মানসিক চাপ দেওয়া কোনো শিশুর ভালো নয়। থলে শিশুর পড়াশোনার উন্নতির উপায় কি? এ লেখায় রয়েছে কিছু দারূণ উপায় যা বাস্তবে মেনে চলতে পারলে সহজেই শিশুর পড়াশোনায় উন্নতি করা সম্বব হবে

যা ই করুন, করুন মন থেকে:

নো ম্যাটার ইট ইজ স্টাডিং অর প্লেয়িং, করুন মন থেকে। মনে একটা করছেন আরেক টা, এভাবে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। সো মন লাগিয়ে কাজে লেগে যান। আগে মন ঠিক করুন-তারপর শুরু করুন পড়াশোনা। দেখবেন সাফল্য পেতে বেগ পেতে হবেনা মোটেও।

পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করুন:

পড়াশোনা করতে গেলে চাই উপযুক্ত পরিবেশ। আপনার টেবিলের এক কোনায় কম্পু, আপনার বাম হাতে মোবাইল, ডান হাতে সিগারেট!!!এভাবে আর যাই হোক পড়াশোনা হবেনা!সুতরাং পড়াশোনার জন্য তৈরী করুন ডেডিকেটেড পরিবেশ। রিডিং রুমের লাইট কতটুকু হলে আপনার চোখের জন্য আরাম হবে, রুমের দরজা বন্ধ করার ব্যবস্হা আছে কিনা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল করুন। এবং অবশ্য অবশ্যই আপনার মোবাইল ফোন দূরে রাখুন। যদি পড়ার সময় গান শুনতে ভাললাগে তবে লো মিউজিকে গান শুনতে পারেন, তবে খেয়াল রাখুন এটা না আবার বিরক্তির পর্যায়ে না চলে যায়!

লক্ষ্য ঠিক করুন-রুটিন তৈরী করুন:

আপনার লক্ষ্যই আপনাকে সঠিক পথে চলতে সবচাইতে বেশি সাহা্য্য করবে। পড়াশোনার জন্য আপনার কতটুকুন সময় বরাদ্দ আছে, তা বের করুন। এবার প্রয়োজন অনুযায়ী রুটিন তৈরী করুন এবং রুটিনে স্হির থাকুন।

ফোকাস ম্যান-জাস্ট ফোকাস!

পড়া শুরু করার সময় আগে পুরো বিষয়টির উপর চোখ বুলিয়ে নিন। দেখে নিন যে বিষয়টি পড়বেন তার উদ্দেশ্য, সারাংশ ইত্যাদি। ঠিক করুন কোন অংশটি আপনার জন্য দরকারি।

বেছে নিন কোন উদ্দীপক:

সাফল্যজনক ভাবে যেকোন বিষয় পড়া শেষ করে বেছে নিন কোন একটি ইনসেনটিভ বা উদ্দীপক যা আপনাকে আরো উৎসাহ যোগাবে! ফোন করুন আপনার কাছের কাউকে,অথবা কিছুক্ষণ হাঁটুন, পছন্দের কোন খাবার খান। গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রজেক্ট অথবা পড়াশোনার সময় নিজের জন্য ভাল কোন উপহার নির্দিষ্ট করুন।

একই বিষয় অনেক্ষন নয়:

একই বিষয় অনেক্ষন ধরে পড়লে মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মনোযোগ ধরে রাখতে হলে বিষয় পরিবর্তন জরুরী। এক-দুই ঘন্টার বেশি কোন সাবজেক্ট একটানা না পড়া ই ভালো।

মূল্যায়ন করুন আপনার অগ্রগতি:

প্রতিদিন একটা সময় বাজেট করুন আজ কি কি করলেন, কতটুকু অগ্রগতি হলো। একটা গ্রাফ তৈরী করতে পারেন উইকলি অথবা মান্থলী।

সঠিক সময়ে সঠিক সাবজেক্ট নির্বাচন:

আপনার এনার্জি লেবেল যখন সবচাইতে ভাল থাকে তখন আপনার কাছে যে বিষয়টি সবচাইতে কঠিন মনে হবে, সেটা পড়বেন। এতে আত্বস্হ হবে তাড়াতাড়ি।

পুরস্কার দিন নিজেকে:

কোন একটি টাস্ক সঠিকভাবে শেষ করে নিজেকে দিন ভাল কোন পুরস্কার । এতে মনোযোগের সাথে তৈরী হবে উৎসাহও।

Sharing is caring!

Comments are closed.