বাচ্চাদের জন্য ডিম সুজির রেসিপি

ডিমের সুজি শিশুদের জন্য একটি প্রধান খাবার যাতে থাকে সুজি, ডিম, গুড় এবং তেল। সুজি আমাদের দেশের শিশুদের প্রথম বাড়তি খাবার হিসেবে অধিক প্রচলিত। এত শক্তি, আমিষ এবং সামান্য পরিমানে খাদ্য আঁশ থাকে।ভিটামিন এবং খনিজ লবনের মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন এবং ভিটামিন সি।

গুড়ে আয়রন থাকে, এছাড়া গুড় আয়রনের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর সাথে সাথে খাবারের শক্তির ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।রেসিপিতে ব্যবহৃত তেল, চর্বি উচ্চ শক্তির চাহিদা মেটায় এবং দ্রবণীয় ভিটামিনের শোষণকে তরান্বিত করে।

অন্যান্য সবজী যেমন- কাঁচা পেঁপে। লাউ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।অন্যান্য রঙ্গীন সবজী যেমনঃ মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে। গুড়ের পরিবর্তে চিনি ব্যবহার করা যাবে।
  • প্রস্তুতকৃত খাবারের ওজনঃ ১৮০ গ্রাম (১ বাটি)
  • পরিবেশনের সংখ্যাঃ ৩
  • খাবার প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় সময়ঃ ৩০ মিনিট
  • আয়রনের উৎসঃ ডিম, গুড়।
  • বয়সসীমাঃ ৬-৮ মাস, ৯-১১ মাস, ১২-২৩ মাস।

প্রস্তুত প্রণালী

  • ১. একটি পাত্রে সুজি নিয়ে অল্প আঁচে হালকা ভেজে নিতে হবে। সুজি হালকা বাদামী রঙ হলে এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যোগ করুন।
  • ২.সব সবজি ভালোমত ধুয়ে কেটে নিন এবং সুজিতে ঢেলে দিন।
  • ৩. সুজি সারাক্ষন হালকা ভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে পাত্রের গায়ে লেগে না যায়।
  • ৪. একটি ডিম ভালোমত ফেটে নিন। সুজি ভালোমত সিদ্ধ হয়ে গেলে এতে ডিম ঢেলে দিন। দ্রুত নাড়াচাড়া করতে থাকুন যাতে ডিম সুজির সাথে ভালোভাবে মিশে যায়। আবারও অল্প আঁচে কিছুক্ষন (২-৩ মিনিট) রান্না করুন।
  • ৫.এবার এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল ও গুড় দিয়ে দিন। ভালোমতো নাড়াচাড়া করুন যাতে সবগুলো উপকরন একসাথে মিশে যায়।
  • ৬. সবগুলো উপকরণ ভালোমত মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থেকে প্রাপ্ত শতকরা শক্তির হার

  • শর্করা থেকে প্রাপ্ত শতকরা (%) = ৫৩
  • আমিষ থেকে প্রাপ্ত শক্তি (%) = ১৬
  • তেল ও চর্বি থেকে প্রাপ্ত শক্তি (%) = ৩১

প্রকাশঃ বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন

Sharing is caring!

Comments are closed.