কেমন হবে স্বাস্থ্যবান শিশুর ওজন?
অনেক শিশুই ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারে না। এ ছাড়া চর্বি এবং ফাস্টফুড-জাতীয় খাদ্যাভ্যাসও অনেক বেড়ে গেছে শিশুদের। এর ফলে ওজন বেড়ে যাচ্ছে তাদের। এ থেকে ভবিষ্যতে শিশু অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শিশু মানেই মোটা, নাদুসনুদুস হবে। শুকনো বা চিকন বাচ্চা দেখলে সবাই কষ্ট পায়। আসলে একটি শিশুর আদর্শ ওজন কী হওয়া উচিত?
স্বাস্থ্যবান শিশু সত্যিই ভালো, যদি সে সুস্থ থাকে। একটা অসুবিধা হলো, শিশুদের যে চর্বি কোষগুলো হয়,
সেগুলো বড় হওয়ার পরও থেকে যায়। যখন ভবিষ্যতে শিশুটি বড় হবে, তখন হার্টের ওপর চাপ পড়বে।
জন্মের সময় ওজন হতে হবে প্রায় সাত পাউন্ড। এর তিন গুণ হবে এক বছরে। কারো যদি জন্মের সময় ওজন সাত পাউন্ড হয়, তার ২১ পাউন্ড হবে।
তার পর প্রতি বছরে পাঁচ পাউন্ড করে বাড়ার কথা, পাঁচ বছর পর্যন্ত। তবে অনেক সময় দেখা যায়, বেশি বেড়ে যাচ্ছে, এটি হলো মুটিয়ে যাওয়া। আরেকটা দিক আছে, শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে শিশুটি পুষ্টি পাচ্ছে না।
এটা গণনা আমাদের বিএমআই (বেসিক ম্যাটাবলিক ইনডেক্স)-এর মাধ্যমে করতে হয়। ইনডেক্সের আদর্শ মান হলো ২৭ বা ২৮। এ রকম থাকলে ভালো।
সাধারণত সাত-আট বছরের সময় শিশুরা বেশি মুটিয়ে যেতে থাকে, হয়তো সে তেমন নড়াচড়া করে না। জাঙ্ক ফুড বেশি খাচ্ছে। চিপস খাচ্ছে। চিজ খাচ্ছে। এগুলো থেকে তাড়াতাড়ি ওজন বেড়ে যায়। তখন তাদের আমরা পরামর্শ দিই। মাকে বোঝাই, শিশুটিকে একটু বাইরে গিয়ে খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে।
ওজন বেশি হলে সব দিকেই চর্বিযুক্ত টিস্যুগুলো বেশি বেড়ে যায়। তখন হয়তো দৌড়াচ্ছে, কিন্তু পারছে না। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বা হাঁপাচ্ছে, এ ধরনের সমস্যা হবে। তার পর যখন আরেকটু বড় হবে, তখন হয়তো হাঁটুতে ব্যথা করবে। এমনও রোগী আছে, ওজনাধিক্যের কারণে কোমরের ব্যথা নিয়ে আসছে। অথচ সে বয়ঃসন্ধিকালে রয়েছে। শিশু মুটিয়ে গেল কখনো কখনো হয়তো দেখতে ভালো লাগে। তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য খারাপ।