শিশুর রক্ত বাড়ানোর খাবার
যে সব খাবারে রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত।
রক্তস্বল্পতা কে অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। শরীরে রক্ত কমে গেলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠে, বৃদ্ধি হয় না, পড়াশোনা বা কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারে না,
ঘনঘন অসুখ হয়, এমনকি হার্ট বিকলও হয়ে যেতে পারে। দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিন লাল রক্ত কণিকা সাধারণ এর চাইতে কমে গেলে আমরা তাকে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধরা হয়। একজন পূর্ণ বয়স্ক মহিলার জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ ডেসিলিটার থাকা স্বাভাবিক।
সাধারণত পুষ্টিহীনতা, আয়রন এবং ফলিক এসিডের ঘাটতির কারণেই রক্তস্বল্পতা রোগ হয়ে থাকে।
আমাদের রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের জন্য দেহকে তৈরি করতে হবে। তাই সবার প্রথমে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আনতে হবে পরিবর্তন।
আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে প্রতিরোধ করা যাবে রক্তস্বল্পতা।
সবুজ শাক-সবজি
দেহে পুষ্টি, ফলিক এসিড এবং আয়রনের কারণে রক্তস্বল্পতা রোগের উৎপত্তি হয়। দেহের এই সকল প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে খাবার তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি। কচু শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার অভ্যাস করান।
গরু/ খাসির কলিজা
রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। খাসি বা গরুর কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন। নিয়মিত গরু বা খাসির কলিজা খেলে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়।
মাছ
মাছ সবচাইতে ভালো আয়রনের উৎস বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখুন রক্তস্বল্পতা রোগ দেহকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
ডাল
ফোলেইট রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফোলেইট সম্মৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী। যে কোনো ধরনের ডাল উচ্চমাত্রার ফোলেইট সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন মসুর, মুগ কিংবা মাসের ডাল খাবেন। ডাল আপনি সাধারণ স্যুপের মত করে খেতে পারেন।
স্বল্পমূল্যে আয়রন জাতীয় খাবার গুলো হল
- গুড়+ তেঁতুলের শরবত
- সবুজ শাক+লেবুর স্যুপ
- ডাল+লেবুর রস
- চালের ছাতু
- লাল গমের রুটি
- ছোলা সেদ্ধ (বুট)
- ফুলকপি
- কাঁচা আম
- হলুদ
ডাঃ আবু সাঈদ শিমুল