৫ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে সেখান এগুলি

দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সটা বাচ্চাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়স।

বাচ্চাদের চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময় থাকে এটি। পাঁচ বছর হওয়ার আগেই কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত করে তুলুন আপনার বাচ্চাটিকে। অনেক বাবা মা মনে করেন এটি খুব অল্প বয়স বাচ্চাদেরকে নৈতিকতা শিখানোর। কিন্তু এটি ভুল ধারণা।

সাধারণত ছোট বয়সে বাচ্চাদের যা শিখানো সেটি তারা সারাজীবন মনে রাখে। কিছু বিষয় আছে যা পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে প্রতিটি বাচ্চার শেখা উচিত।

১। সমবেদনা

যখন অন্য কোন বাচ্চা পিছলে পড়ে যাবে, তখন আপনার বাচ্চাটি যেন না হেসে পড়ে যাওয়া বাচ্চাটিকে উঠতে সাহায্য করে। অন্যের কষ্টে সে যেন খুশি না হয়। এটি তাকে হিংসা থেকে দূরে রাখবে। অন্যের কষ্টে খুশি হওয়ার কিছু নেই, এই ঘটনাটি তার সাথেও হতে পারত- এই বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন।

২. সম্মান

এটি খুব জরুরি একটি বিষয়। বড়দের সম্মান করার পাশাপাশি ঘরের গৃহকর্মীকেও সম্মান করা শিখান। অনেক সময় বড়দের দেখাদেখি বাচ্চারা ঘরের গৃহকর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। তাই গৃহকর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করার আগে একবার ভাবুন আপনার বাচ্চাটিও কিন্তু এটি শিক্ষা পাচ্ছে।

৩. দায়িত্ববোধ

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। ছোট বয়সে যদি বাচ্চারা দায়িত্ব নেওয়া শিখে যায় তবে তারা একজন দায়িত্ববান মানুষ হয়ে গড়ে উঠে। খুব বেশি কাজের দায়িত্ব তাদের উপর চাপাবেন না। ছোট ছোট কাজ যেমন নিজের খেলনাটা ঠিকমত দেখে রাখা, ঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা, ময়লা কাপড়টি লন্ড্রি বাস্কেটে রাখা, অথবা ছোট ভাই বা বোনটির যত্ন নেওয়া। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে থাকে।

৪. সংকল্প

সংকল্প ছাড়া কোন বাচ্চা তার কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এটি শুধু বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংকল্প ছাড়া কেউ কোনদিন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। তাই এই বিষয়টির সাথে ছোট থেকে বাচ্চাদের পরিচয় করে দিন।

৫. সততা

আপনার বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছরে পৌঁছানোর আগে সততার বিষয়টির সম্পর্কে জানান। সে যেন সবসময় সত্য কথা বলে। ছোটখাটো মিথ্যাকেও প্রশ্রয় দিবেন না। এটি তার মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়িয়ে দিবে। মিথ্যা বলা, ঠকানো বা চুরি করা কোন বিষয়কে অবহেলা করবেন না। সত্য কথা বলা শিখান। যদি সে মিথ্যা বলে সেটি নিয়ে খুব বেশি রাগারাগি করবেন না। বরং কিভাবে সে সত্য কথা বলবে সেটি তাকে শিখান।

এক থেকে পাঁচ বছর বয়সটি অনেক কোমল একটি সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের যা শেখাবেন তারা তাই শিখবে। তা ভাল হোক বা খারাপ।

Sharing is caring!

Comments are closed.