সাত মাস থেকে তিন বছরের শিশুদের পছন্দের কিছু খাবার

সাত মাস থেকে তিন বছরের শিশুর খাবার নিয়ে বাবা- মা’র দুশ্চিন্তার শেষ নাই। কি খাবার বাচ্চা পছন্দ করবে এসব নিয়ে বেশি চিন্তা মায়েদের। তাই আজ দেয়া হলো বাচ্চাদের জন্য সহজ দুটি রেসিপি।

# মুরগির খিচুড়ি

উপকরণ :

মুরগির স্টক তৈরি:

মুরগি মাংস ৪,৫ টুকরা। বড় পেঁয়াজ কয়েক টুকরা বড় করে কাটা। গাজর কয়েক টুকরা বড় করে কাটা। আলু কয়েক টুকরা বড় করে কাটা। চিকেন স্টক কিউব ১টি, আদা কাটা এক টুকরা, লবণ একটু।

হাঁড়িতে ছয় কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে মুরগির সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে এক ঘণ্টা জ্বাল দিন। যাতে মাংসের হাড় থেকে সব রস বের হয়ে যায়। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে নামিয়ে চালনিতে ছেঁকে পানিটুকু নিতে হবে। মুরগির মাংসগুলো হাড় থেকে আলাদা করে হাত দিয়ে ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে রাখুন। গাজর, আলুগুলো তুলে রাখুন।

খিচুড়ি তৈরি:

পোলাওয়ের চাল ১ কাপ। পেঁয়াজকুচি, ১ কোয়া রসুনকাটা। গরম মসলা, এলাচ, দারুচিনি। নারিকেল দুধ আধা কাপ। লবণ প্রয়োজন মতো। তেল বা ঘি ৪ টেবিল-চামচ।

প্রণালি:

হাঁড়িতে তেল দিয়ে কাটা পেঁয়াজ, রসুন গরম মসলা কিছুক্ষণ ভেজে নিন। ধুয়ে রাখা চাল যোগ করে দিয়ে কয়েক মিনিট সব ভাজুন। আগে রান্না করা চিকেন স্টক চালের সঙ্গে দিয়ে দিন এবং রান্না করা মাংসগুলো গাজর, আলু এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে নেড়ে দিন।

তিন থেকে চার বার ফুটে আসলে ঢেকে দিন এবং চুলার মাঝারি আঁচ রেখে রান্না করুন। খিচুড়ি মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। খিচুড়ির চাল সিদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে আসলে নারিকেল দুধ দিয়ে আবার কিছুক্ষন রান্না করুন। খিচুড়িতে যে মুরগির মাংস ছিল তা রান্নার সময় একেবারে গলে মিশে যাবে। এতে শিশুর মুখে বাঁধবেনা।

ছয় মাসের পর থেকে একবারে চার/পাঁচ বছর বয়সি শিশুদেরও এই খিচুড়ি খাওয়াতে পারেন। তবে এক বছরের নিচে বয়স হলে নারিকেল দুধ দেবেন না। চাইলে সিদ্ধ মুরগির মাংস একবার বেটে দিতে পারেন। এতে শিশুদের খাবারটা গিলতে সমস্যা হবে না। চিকেন স্টক কিউব যদি না দিতে চান, অসুবিধা নাই।

# ব্যানানা ওটস

উপকরণ:

ওটস ১/৩ কাপ। দুধ ১ কাপ। সাগর কলা একটি। টাটকা বাদামগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। যে কোনো সিরিয়াল (কর্ন ফ্ল্যাক্স) গুঁড়া করা ২ টেবিল-চামচ। চিনি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি:

হাঁড়িতে দুধের সঙ্গে ওটস, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ফুটে উঠলে গুঁড়া করা বাদাম আর সিরিয়াল দিয়ে নাড়তে থাকুন।

আলাদা একটি বাটিতে কলা, কাঁটাচামচ দিয়ে চটকিয়ে নিন। এবার চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে চটকানো কলা রান্না করা ওটসের সঙ্গে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন যাতে দানা দানা না থাকে।

চাইলে কলা বাদ দিয়ে আপেলও দিতে পারেন। তবে আপেল দিয়ে করলে প্রথমে একটু পানি দিয়ে সিদ্ধ করে চালনিতে চেলে আপেল পিউরি করে নিতে হবে। যখন বাদাম এবং সিরিয়ালগুঁড়া দেবেন তখন আপেল পিউরিটা মিশিয়ে দিয়ে রান্না করবেন।

১২ মাস বয়সের শিশুকে এই খাবার সকালের নাস্তা হিসাবে খাওয়াতে পারেন। তবে ছয় মাস থেকে এক বছরের শিশুর জন্য রান্না করার সময় বাদাম এবং সিরিয়াল দেবেন না। শুধু ওটস, কলা, দুধ (গরু দুধ ২ বছরের আগে ডাঃ নিষেধ করেছেন তাই ফর্মুলা ব্যবহার করতে হবে ডা পরামর্শে) এবং চিনি দিয়ে বানিয়ে খাওয়াবেন।

Sharing is caring!

Comments are closed.