বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে খাবারে( ভিটামিন এ ) নিশ্চিত করে!

বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের জন্য অনেক পুষ্টির প্রয়োজন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যদি দেখেন যে আপনার বাচ্চার গায়ে চুলকানি হচ্ছে বা মাঝে মাঝেই সর্দি বা পেটে ব্যথা, তাহলে একটু ভাল করে ওর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে। চট করে রোগের স্বীকার হওয়া, শুধু আপনার বাচ্চার পড়াশোনার ক্ষতি করবে,

তা নয়, এটা আপনার বাচ্চাকে দুর্বল ও রোগ প্রবণ করে তুলবে। সাম্প্রতিক কালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮১% বাড়ন্ত বাচ্চা যথেচ্ছ মাত্রায় লোহা, ভিটামিন এ এবং সি পাচ্ছে না। এই অভাব, শরীরকে দুর্বল করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম করে। এর কারণে আপনার বাচ্চা ঋতু পরিবর্তনের সময়েও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

ভিটামিন এ

অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য শরীরের ভিটামিন এ-র প্রয়োজন হয়। এর অভাব বাচ্চাদের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষয় করে। এখান থেকেই সংক্রমণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা শুরু হয়। খেয়াল রাখুন যাতে বাচ্চাদের খাবারে ঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে।

ভিটামিন বি

ভিটামিন বি-র প্রয়োজন হয় সাদা ব্লাড কোষের, শরীরের যত্নের জন্য। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, বি৯ ও বি৬-র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শরীরে লিম্ফোসাইটের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য। এই ভিটামিনগুলো শরীরকে শক্তিশালী বানায় ও সংক্রমণ থেকে বাচ্চাদের বাঁচায়। নিমেষে ডার্ক সার্কেল মিলিয়ে যাক এমনটা চান নাকি? পাঁউরুটি খেলে শরীরের কতটা ক্ষতি হয় জানা আছে? মা হওয়ার কথা ভাবছেন নাকি? তাহলে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!

ভিটামিন সি

ভিটামিন সি-র অভাব বাচ্চাদের শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। টি-কোষ ও ফ্যাগোসাইট হল রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় কোষ। যথেচ্ছ পরিমাণে ভিটামিন সি নিলে এই কোষগুলোর সৃষ্টি বৃদ্ধি পায়, যা খুবই উপকারি। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার লড়াইয়েও ভিটামিন সি-র খুব দরকার। এইভাবেই এটা অনেক সংক্রমণও রোধ করতে পারে।

লোহা

লাল রক্তের কোষগুলোর লোহার প্রয়োজন হয়। ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নিউট্রিফিলসের দরকার। লোহার অভাবে শরীরে টি-কোষের সংখ্যা কম হতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, লোহার অভাবে শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যেতে পারে।

দস্তা

দস্তা, শরীর ঠিক রাখতে ও রোগ প্রতিরোধে (নিউট্রিফিলস ও মারণ কোষ) সাহায্য করতে খুব কার্যকরি। দস্তার অভাবে শরীর এ্যান্টিবডি তৈরীর মাত্রা কমিয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এর অভাবে।

ভিটামিন ই

বাচ্চাদের শরীরের সংক্রমণ রোধে এই ভিটামিনের মধ্যে উপস্থিত এ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজন খুব। সূর্যমূখী ফুলের বীজ ও বাদামে এটি যথেচ্ছ মাত্রায় পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি৬

শরীরের প্রায় দুশোর ওপর রাসায়নিক প্রক্রিয়াতে এই ভিটামিনটি ব্যবহার দেখা যায়। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় খুব কাজে লাগে। কলা ও চানায় এটি বেশি পাওয়া যায়।

সেলেনিয়াম

সেলেনিয়াম আরেক অতি আবশ্যক পুষ্টিদাতা উপাদান, যার খুব দরকার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। এটার উপস্থিতি বেশি মাত্রায় পাওয়া যায় বার্লি, ব্রাজিল বাদাম ও রসুনে।

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.