একেবারে ছোট শিশুরা কোন ধরনের স্বাদ পছন্দ করছে সেটা বোঝার উপায় আছে কি? তাদের যেটা স্বাদ লাগছে না, সেটা জোরপূর্বক খাওয়ালে কি তাদের স্বাস্থ্যের কোনো সমস্যা হতে পারে?
তাদের মধ্যে এ হার প্রায় ৮০ শতাংশের মতো। শিশুকে জোর করে খাওয়ানোয় ভয়াবহ পরিণতি তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এসব শিশুর বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সমস্যা হয়, কখনো বা তারা ওজন হারাতে থাকে। বাচ্চাকে জোর করে খাওয়ানো নিয়ে কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য কোনো কোনো অনভিজ্ঞ মা তাঁর শিশুকে জোর করে খাওয়ান। এটা একধরনের মানসিক রোগ, যা শিশু নির্যাতনের চিত্র তৈরি করে। প্রতিবেশী যে কেউ এ রকম দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকলে তা প্রতিরোধের সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করা উচিত। যতটা সম্ভব শিশুকে খাওয়ানোর সময় আনন্দপূর্ণ করে তুলুন। যখনই শিশু খাবারপাত্র থেকে মাথা ঘুরিয়ে নেয়, তখন থেকে তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা পরিহার করুন।
কারণ, সে ইঙ্গিতে যা বুঝিয়ে দিয়েছে, তার ভাষা হলো, ‘আমার ভরপেট অবস্থা, এর বেশি আমি চাই না।’ এর পরও যদি আপনি জোরাজুরি করেন, হয়তো জিতে যাবেন। তবে তা হাসির চেয়ে কান্নার বাঁশিই বাজাবে। আপনার চঞ্চল বাচ্চার মধ্যেও পছন্দের খাবার বাছাইয়ের মানসিকতা গড়ে উঠেছে। আপনার মনে রাখা উচিত, এ শিশু শুধু আপনার ছায়াই নয়, তার স্বকীয়তা আছে, স্বাধীনতা আছে। সুতরাং,
তার পছন্দের মূল্য দিন। বেশির ভাগ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মা-বাবা মনে করেন, কম খায় বলে তাঁদের বাচ্চাটা অপুষ্টিগ্রস্ত হয়ে যাবে বা ভালো মগজের অধিকারী হবে না। ডা. ডেভিস চার থেকে ১০ বছরের বয়সের বুকের দুধ পানে অভ্যস্ত শিশুদের ওপর জরিপ করে দেখেছেন, শিশুর সামনে সব ধরনের স্বাভাবিক খাবারের পদ রেখে দেওয়া হলে তারা খুশিমতো যেসব খাবার গ্রহণ করে, তা যথার্থই সুষম মানের; যদিও খাওয়ার সময় অনুযায়ী এবং একদিন থেকে অন্য দিনে এই পছন্দের তালিকায় বেশ প্রভেদ দেখা যায়। মূল কথা হলো,
শিশুর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে এমন এক সত্তা দেওয়া আছে, কোনটা পুষ্টিকর, কোনটা পুষ্টিকর নয়—এসব ধারণা না পেয়েও শিশু নিজের বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার গ্রহণ করে। জোর করে বাচ্চাকে খাওয়ানো কোনো ভালো জবাব নয়। হতাশাগ্রস্ত মা-বাবা শিশুকে খাওয়ানোর সময়টা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেন। এতে শিশুর মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়। খাওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে সে বির্মষ হয়ে যায়।