শিশুরা কেন মিথ্যা বলে? আপনার করণীয়

ইতালির বিখ্যাত লেখক কার্লো কলোদির ‘পিনোকিও’ গল্পটির কথা নিশ্চয় অনেকেই জানেন? পিনোকিও নামের কাঠের পুতুলটি ভারী দুষ্টু ছিল। পরীর কাছে মিথ্যে বলেছিল বলে পিনোকিও নাক বড় হয়ে গিয়েছিল। পরীও ধরে ফেলেছিল তার মিথ্যে বলার বিষয়টিকে।

গল্পের মতই বাস্তবে মিথ্যে বলার স্বভাব ছোট বড় অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে শাস্তির ভয়ে বা স্বভাববশত অনেক মানুষ মিথ্যে বলে বা বানিয়ে কথা বলে। অনেক সময় শিশুরা মিথ্যে কথা বলে, এ সমস্যাটি প্রায়ই দেখা যায় ইদানীং।

এর একটি কারণ হতে পারে, তারা এমন অনেক কিছু করতে বা বলতে পছন্দ করে যা তাদের মা-বাবা মা করে না।

যদি বিষয়গুলো বন্ধ করতে চান—তাহলে বকাঝকা না করে, শিশুর সাথে বসুন, কথা বলুন। ধীরে ধীরে তাকে মিথ্যা বলা খারাপ- এটি বুঝিয়ে বলুন। জীবনে সৎ থাকা কেন জরুরি সেটা বোঝান এবং সৎ হওয়ার প্রশিক্ষণ দিন।

জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে শিশুর মিথ্যে বলার কিছু কারণের কথা।

১. কঠিন মুহূর্তে বা শাস্তির ভয়ে

অনেক সময় কোনো ভুল করে ফেললে বা অপরাধ করে ফেললে শাস্তির ভয়ে বা মা-বাবার বকাঝকার ভয়ে শিশুরা মিথ্যে বলে। মূলত কঠিন মুহূর্তে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক সময় মিথ্যে বলে তারা।

২. অন্যের মনোযোগ কাড়ার জন্য

অনেক সময় অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শিশুরা মিথ্যে বলে। যদি বোঝেন অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শিশু মিথ্যে বলে তাহলে শিশুর সাথে কথা বলুন। এটা বিব্রতকর সেটা বোঝান।

৩. অভ্যাস

শিশুরা যদি মা-বাবাকে প্রায়ই মিথ্যা কথা বলতে দেখে, তাহলেও কিন্তু সে মিথ্যা বলা শেখে। এই বিষয়টি তারও অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন অযথাই মিথ্যে বলে।

৪. অভিভাবকের খামখেয়ালি

শিশু মিথ্যে বললে তাকে থামানো দরকার। যদি অভিভাবক হিসেবে আপনি জিনিসটি না করতে পারেন, তাহলে শিশু বারবার এটি করতে থাকবে। সে বুঝে যাবে, মিথ্যে বলেও পার পাওয়া যায়। তাই সে অন্যায়টি বারবার করবে। তাই মা বাবার উচিত শিশুদেরকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বোঝানো।

Sharing is caring!

Comments are closed.