ঘুম বঞ্চিত শিশুরা কি বেশি পরিমানে খায়?

গবেষণায় দেখা গেছে, যেই শিশুরা দিনের বেলার খানিকটা ঘুম মিস করে এবং অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে, তারা বেশি পরিমানে ক্যালোরি, খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকে। নিচের তথ্যগুলি আলোকপাত করতে পারে যে, কেন কম ঘুম ওজন বৃদ্ধি ঘটায় এবং কেনই বা একধিক চর্চায় দেখা গেছে যে যেসব প্রিস্কুলাররা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমায় না তারা শিশু অবস্থাতে বা পরবর্তী জীবনে মেদবহুল হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়ে অগ্রণী লেখক এলসা মুলিন্স বলেন যে, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, এটি প্রথম প্রকাশিত গবেষণা যাতে, প্রিস্কুলারদের খাওয়ারে পরিমানের ওপর ঘুম অপ্রতুলতার প্রভাব, পরীক্ষামূলক ভাবে পরিমাপ করা হয়েছে”।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্তে সেই সব গবেষণারো ফলাফল রয়েছে যেগুলিতে প্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর-কিশোরীদের ঘুম বঞ্চিত হওয়ার দরুন, একদিনে বেশি পরিমানে ক্যালোরি গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে”। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রিস্কুলাররা মোটামোটি তিন ঘণ্টার ঘুম থেকে বঞ্চিত হয়, যদি তারা দুপুরে কিছুটা সময়ের জন্য হাল্কা একটা ঘুম না পায়, রাতে তাদের স্বাভাবিক ঘুমের সময়ের থেকে প্রায় দুই-ঘন্টা পর পর্যন্ত জাগিয়ে রাখা হয় আর সকালে অনেক আগেই তাদের ঘুম থেকে উঠতে হয়।

কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও অগ্রণী গবেষক, মনিক লি বরজোয়া বলেন যে, একদিনে এই ঘুমের অপ্রতুলতার কারণে, তিন থেকে চার বছরের শিশুদের স্বাভাবিকের থেকে ২০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি, ২৫ শতাংশ বেশি সুগার এবং ২৬ শতাংশ বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয়ে থাকে। পরদিনই, বাচ্চাদের যতোটা প্রয়োজন ততোটা ঘুমাতে দেওয়া উচিৎ।

সাবধান: এদেশে বাড়ছে কিডনি স্টোনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা! অয়েলি ত্বকের সমস্যা কমাতে ঘরোয়া টোটকার সন্ধান পেতে চান কি? মন খুলে না হাসলে শরীরের কত ক্ষতি হয় জানা আছে? Featured Posts এই ‘রিকোভারির দিন’-এ বাচ্চাদের সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহনের স্তর স্বাভাবিকে চলে এলেও, এখনো স্বাভাবিকের থেকে ১৪ শতাংশ বেশি ক্যালোরি ও ২৩ শতাংশ বেশি ফ্যাট গ্রহিত হয়ে থাকে।

লি বরজোয়া বলেন যে, “আমরা দেখেছি যে, ঘুমের ঘাটতি, কম ঘুম এবং পরের দিনের নির্দিষ্ট ঘুম এই দুই দিনেই প্রিস্কুলারদের মধ্যে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়”। আই .এ .এন .এস দ্বারা এই গবেষণাটি ঘুম সম্পর্কিত একটি গবেষণার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.