শিশুকে এভাবে আদর করবেন না, পরিণতি ভয়ংকর! (ভিডিও)
বাচ্চাদের কোলে নিয়ে কত আদরই না করি আমরা। কিন্তু আদরের কিছু পদ্ধতি আপনার সন্তানের জন্যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। যেমন বাচ্চাদের কোলে নিয়ে ঝাঁকানোর পরিণাম কী হতে পারে তা এখানে দেখে নিন।
গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যন্ত্রপাতির ব্যবহারে তা স্পষ্ট দেখা গেছে। ভিডিও-তে দেখুন। এভাবে শিশুদের কখনও ঝাঁকাবেন না। এভাবে খেলা করার পরিণাম চিন্তাও করতে পারবেন না। কিন্তু কেন এতটা ক্ষতি ঘটে যেতে পারে?
শিশুকের দু হাতে নিয়ে এদিক-ওদিক ঝাঁকালে তা সরাসরি মস্তিষ্কের চাপ সৃষ্টি করে। যদি প্রাপ্তবয়স্ক কেউ শক্তির প্রয়োগে এ কাজ করে থাকেন, তাদের মস্তিষ্কে ঝড় বইতে থাকে। যন্ত্রের ব্যবহারের সেই অশনিসংকেত ইতিমধ্যে ভিডিও-তে দেখেছেন আপনারা।
‘শেকেন বেবি সিনড্রোম’ নামে কোনো সমস্যার কথা শুনেছেন কখনও? মস্তিষ্কে আকস্মিকভাবে ঝাঁকুনি খেলে এমন অবস্থা দেখা যায়। এ ধরনের ঝাঁকুনিতে কচি মস্তিষ্ক সামনে-পেছনে আসতে থাকে। এটি করোটিতে বাড়িও খেতে পারে। এতে দেখা দেয় মস্তিষ্কে ক্ষত।
পরীক্ষায় ব্যবহৃত ডামিটাই কিন্তু আপনার শিশুর কী ঘটতে পারে তার চিত্র দেখাচ্ছে। এই ডামিতে একটি শিশুর মস্তিষ্ক যে আকারের এবং যতটা স্পর্শকাতর হয়, তেমন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপাদানই ব্যবহার করা হয়েছে। ডামিতে মস্তিষ্কের যে অংশে আলো জ্বলছে সেখানেই আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক। পরিণামে মৃত্যু ঘটাও অস্বাভাবিক হবে না।
শিশুদের মস্তিষ্ক আণুপাতিক হারে তাদের দেহের চাইতেও বড় আকারের হয়ে থাকে। তখন তাদের ঘাড়ও থাকে নরম এবং ভঙুর। তাদের পেশিও সুগঠিত হয়নি এখনও। এ অবস্থায় মাথা জোরে ঝাঁকুনি খেলে করোটির ভেতরে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায়। এতে রক্তবাহী নালী ফেটেও যেতে পারে। মস্তিষ্কের নানা ধরনের টিস্যু হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতির মাত্রা চিরস্থায়ী হতে পারে। এমন আঘাতে মস্তিষ্কের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি তা থেমে যাওয়াও বিচিত্র নয়। শিশু হতে পারে বধির। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
তবে খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। এ কাজ করতে যাবেন না। অন্যকেও শিখিয়ে দিন। দু’হাতে কোলে নিয়ে দোল খাওয়ানো যেতে পারে। শুধু ঝাঁকাবেন না। এই ভিডিও দেখার পর আপনারা নিশ্চয়ই শিশুকে আর এভাবে আদর করতে যাবেন না।
সূত্র : ফেসবুক