শিশুদের যে খাবার গুলি খোসা সমেত খাওয়া উচিত
কিন্তু আপনি জানেন কি বেশিরভাগ ফল এবং সবজির খোসাই বাস্তবে অনেক স্বাস্থ্যকর এবং আপনার ডায়েটের পুষ্টিউপাদান বাড়াতে সহায়ক? তাই আজ থেকেই এই ৬টি ফল ও সবজির খোসা না ছাড়িয়েই খাওয়া সুরু করুন। তাহলেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
১. আলু
ভেতরের উপাদানের চেয়ে আলুর খোসাতেই বেশি পুষ্টি! এতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। আর মিষ্টি আলুর খোসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা হজমের সময় ভিটামিন এ-তে রুপান্তরিত হয়। দেহকোষগুলোর স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য ভিটামিন এ জরুরি।
২. গাজর
গাজরের চামড়ায় আছে পলিএসিটাইলিনস। এটি এমন একটি রাসায়নিক যাতে আছে ব্যাকটেরিয়ানাশক, প্রদাহরোধী এবং ছত্রাকনাশক উপাদান। আপনি গাজরের চামড়ায় পাবেন সবচেয়ে ঘন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। সুতরাং গাজর কখনো চামড়া ছিলে খাবেন না।
৩. বেগুন
আমরা সাধারণত বেগুনকে মাঝারি আগুনে পুড়িয়ে এরপর তার খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা বানিয়ে খাই। কিন্তু বেগুনের খোসার যে রঙ তা আসে মূলত নাসুনিন নামের একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে। এই উপাদানটি স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। এছাড়া এটি বুড়িয়ে যাওয়ার গতিও কমায়। বেগুনের খোসায় আরো আছে ক্লোরোজেনিক এসিড যা এমন একটি ফাইটোক্যামিক্যাল যাতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান।
৪. শসা
শসার চামড়ায় আছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে আরো আছে আঁশ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে।
৫. আপেল
আপেলের খোসাতেই এর অর্ধেক খাদ্য আঁশ থাকে। এছাড়া এতে আরো আছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এতে আছে কোয়েরসেটিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ও শ্বাসের সমস্যা দূর করতে এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
৬. সাইট্রাস ফল
বেশিরভাগ সাইট্রাস ফল এবং তাদের খোসা ভিটামিন সি-তে ভরপুর। সাইট্রাস ফলের খোসায় আছে উচ্চমাত্রার রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। খোসার ফ্ল্যাভোনয়েডে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। কমলা বা লেবুর খোসা খাওয়ার যোগ্য নয় সত্য। তবে আপনি এদের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে শুকিয়ে গুড়ো করে ফেস প্যাক বানাতে পারেন। এছাড়া সালাদ, আইসক্রিম পুডিং সহ নানা খাবারেও সেই গুড়ো ছিটিয়ে দিতে পারেন।
tinystep