ওষুধ দিতে গিয়ে মা বাবা যেই ৮ টি ভুল করেন

শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ওষুধ দরকারী কিন্তু অজান্তে কোনো ওষুধ দিলে তার স্বাস্থের বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই নিচে দেওয়া ৮ খানা ভুল কখনো করবেন না:

১. ভুল ওষুধ

ওষুধে লেখা তথ্য পড়বেন। দেখবেন তাতে ডেট আছে কিনা ও শিশুর বয়সের জন্য তা ঠিক কি না। ওষুধের লেবেল তুলবেন না বা ওষুধ মিশিয়ে ফেলবেন না। ডেট না থাকলে ওষুধ ফেলে দিন।

২. ঠান্ডার জন্য বেশি ওষুধ দেবেন না

অনেক ওষুধের একই সামগ্রী থাকে কিন্তু সেগুলি অন্য অসুস্থতা ঠিক করে। যেমন বেশির ভাগ ঠান্ডার ওষুধে এসিটামিনোফেন থাকে যেটা তায়লেনল এও আছে। কিন্তু শিশুকে তায়লেনল দিলে দুগুন এসিটামিনোফেন চলে যাবে।

৩. ডাক্তারের কথা না শোনা

শিশু ঠিক হয়ে গেলে ইচ্ছে করে না ওষুধ দিতে কিন্তু এই ভুল করবেন না.ডাক্তার যতদিন বলেছেন ততদিন দেবেন না হলে জীবানু ফিরে আসতে পারে। অসুখ ফিরে আসলে আরও বেশি শুধ দিতে হবে!

৪. অফ লেবেল কাজের জন্য ওষুধ দেবেন না

অনেক মা বাবা শিশুদের বেনাদ্রিল দিতেন এই ভাবে তাদের ঘুম আসবে। কিন্তু ১১% শিশু তা খেয়ে বেশি চঞ্চল হয়ে উঠেছিল. তারপর বৈজ্ঞানিকরা দেখেন যে এটি আসলে শিশুদের আরও চঞ্চল করে তোলে।

৫. এক শিশুকে দেওয়া ওষুধ আরেক শিশুকে খাওয়ানো

ছোটো ছেলে বলতেই পারে যে দাদার মত তার ও গলা ব্যথা কিন্তু তাকে একই ওষুধ দেবেন না। ভুল ওষুধ পড়লে শরীর আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। এক কষ্ট হলেও ডাক্তার দেখিয়ে আলাদা প্রেসক্রিপসন নিয়ে নেবেন।

৬. ওজনের ওপর জোড় দেবেন বয়সের ওপর নয়

শিশুদের মেতাবলিস্ম ওজনের ওপর নির্ভর করে, বয়স নয়। শিশুর ওজন কম হলে তো আরও চিন্তার ব্যাপার। মোটা বাচ্চাদের কাফীন ও দেক্স্ত্রমেত্রফান মেতাবলিস্ম বেশি অন্য বাচ্চাদের থেকে. তাই তাদের বাকিদের থেকে বেশি দরকার হয়।

৭. বেশি তারাতারি ডোজ দেওয়া

ডাক্তারের কথা ও সময় মত ওষুধ দেবেন- বেশি না। দু রকমের ওষুধ না চালানই ভালো।

৮. ওষুধ মিশিয়ে ফেলবেন না

ওষুধ ঠান্ডা জায়গায় তালা দিয়ে রাখবেন। লেবেল করে নেবেন যাতে তারাহুরতে ভুল ওষুধ না খান। ওষুধের মিলিমিটার চামচ দিয়ে না করে সিরিঞ্জ দিয়ে করুন যাতে ভুল না হয়।

Source:tinystep

Sharing is caring!

Comments are closed.