বাচ্চার পা দুটো এইভাবে একসঙ্গে করলেই দেখবেন সে কান্না থামিয়ে দিয়েছে !
যে জায়গাগুলি সামান্য় টিপলেই বাচ্চা কান্না থামিয়ে দেয়। শুনে যতই অবাক লাগুক না কেন, রিফ্লেক্সোলজি নামে একটি বিষয় আছে। যেখানে এই বিষয়ে লেখা আছে। তাতে বলা হয়েছে এই পদ্ধতির সাহায্য়ে শারীরের ক্ষত পর্যন্ত সারিয়ে তোলা সম্ভব। প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার হেয়েছে চিনে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক প্রেসার পয়েন্ট আছে, যে জায়গাগুলিতে সামান্য় চাপ দিলেই অনেক সমস্য়া কমতে শুরু করে।
তাই তো এই বিষয়ে যারা বিশেযজ্ঞ, তারা রোজ দিন এই পদ্ধতির সাহায্য় নিতে বলেন। তাদের মতে এমনটা রোজ করলে শরীরে পজেটিভ এনার্জি বাড়ে, ফলে কমতে শুরু করে নানা রোগ। তাহলে কী ভাবলেন? সারা রাত জাগবেন, না এই পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জ্ঞান লাভ করে বাচ্চার কান্না থামাবেন?
বাচ্চা কেন কাঁদে? যতদিন না বাচ্চা কথা বলতে শুরু করছে, ততদিন সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলবে কীভাবে? তার যে কিছু কষ্ট হচ্ছে সেটাই বা বোঝাবে কী করে। তাই তো তারা কাঁদে। কান্নাকাটি করে বাবা-মায়েদের জানাতে চায় তাদের ক্ষিদে পেয়েছে, ঠান্ডা লাগছে অথবা তারা প্য়ান্টে হিসু কের ফেলেছে। তাই এবার থেকে যখনই আপনার বাচ্চা কাঁদবে, জানবেন তার কোনও সমস্য়া হচ্ছে।
এক্ষেত্রে রিফ্লেক্সোলজি কীভাবে সাহায্য় করে? আপনার বাচ্চা যদি একটানা এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাঁদতে থাকে, তাহলে বুঝবেন তার পেটে বা মাথায় খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। এবার আপনি কী করবেন? খুব সহজ! আস্তে আস্তে তার পা-টা টিপুন, প্রতিটি পা তিন মিনিট করে টিপবেন। তাহলেই দেখবেন বাচ্চা কান্না থামিয়ে দিয়েছে। কারণ এমনটা করলে মাথা যন্ত্রণা কমে যায়। আর অ্যাবডোমিনাল পেনের সময় পায়ের পাতার মাঝখানের থেকে একটু নিচে যদি টেপেন তাহলে দেখবে সমস্য়া কমে যাবে। এমন সব শারীরিক সমস্য়া একবার কমে গেলেই দেখবেন আপনার বাচ্চা আপনা থেকেই কান্না থামিয়ে দিয়েছে। তবে যদি দেখেন বারং বার এমন অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
Source:boldsky