হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করা যায় না কেন?

হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করা যায় না কেন? আপনার রোমান্টিক জীবন কতটা মধুময় জানতে হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট একটি ভালো উপায়| কিন্তু দাঁড়ান; এটি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য তো? তবে, আপনার গর্ভাবস্থা বা তার অভাব নিশ্চিত করতে একটি স্ত্রীরোগবিশারদের ক্লিনিকে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি| ঘরোয়া পরীক্ষা শুধুমাত্র আংশিকভাবে নির্ভরযোগ্য|

আসলে এগুলি গোপনীয়তা বজায় রাখে আর তাই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়| এছাড়াও, যে সমস্ত দম্পতির এখনও বিয়ে হয়নি তারা গর্ভাবস্থা পরীক্ষার জন্য ক্লিনিকে যেতে অস্বস্তি বোধ করে থাকেন| যে কারণে তারা ঘরোয়া গর্ভাবস্থার পরীক্ষা পছন্দ করেন| তবে এই ঘরোয়া পরীক্ষাটি যে খুব একটা ভালো উপায় নয়, তাই নিয়েই আজকের এই আলোচনা…

তথ্য # ১ পরীক্ষার সরঞ্জামের সাথে কিছু নির্দেশাবলী থাকে, সেগুলি সঠিক ভাবে না মানলে ফলাফল সঠিক নাও হতে পারে!
তথ্য # ২ কিছু সময় পর, পরীক্ষার সরঞ্জামটি শুষ্ক হয়ে যায় (প্রস্রাবের ফোটা বাষ্পীভূত হয়) আর তখনিই পরীক্ষার দুটো দাগ কালো দেখায় যার ফলাফল পসিটিভ বলে ভুল হয়|

তথ্য # ৩ পরীক্ষাটি মহিলাদের মূত্রের এইচ সি জি (HCG) মাত্রা অনুযায়ী পরোক্ষ করে হয়| খুব তাড়াতাড়ি এই পরীক্ষাটি করলে ফলাফল নেগেটিভ আসতে পারে|

তথ্য # ৪ কিছু পরীক্ষা ভ্রান্ত পসিটিভ ফলাফল প্রদান করে যা অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করে| আবার যে সব দম্পতি গর্ভধারণের খুব চেষ্টা করছেন তাদের ক্ষেত্রে মিথ্যা ফলাফল বিষন্নতা সৃষ্টি করতে পারে|

তথ্য # ৫ এছাড়াও, সার্ভেতে দেখা গেছে, যে সমস্ত সিঙ্গেল নারী এই ভ্রান্ত পসিটিভ ফলাফলের সম্মুখীন হন, তারা অপরাধবোধ থেকে ঘরোয়া গর্ভপাত পদ্ধতি বেছে নেন যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক|

তথ্য # ৬ কিছু ওষুধের কারণেও ভ্রান্ত ফল আসতে পারে এই পরীক্ষার। যেমন ধরুন, যেসব ওষুধে HCG আছে, কিছু ট্রাংকুইলাইজার্স, কিছু ডিউরেটিক্স আরও কিছু ওষুধ আছে যা পরীক্ষার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করতে পারে|

তথ্য # ৭ এমনকি কিছু শারীরিক সমস্যা, যেমন লিভারের সমস্যা এবং টিউমার (প্রজনন), এই পরীক্ষার সঠিক ফলাফলে প্রভাবিত করতে পারে|

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.