বাচ্চার দৈনন্দিন রুটিন কেমন হওয়া উচিত?
ছোট থেকেই বাচ্চাকে একটি নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্য়ে ফেলে দিন। এমনটা করলে সারা জীবন আর তাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। কিন্তু মনে রাখবেন রুটিনটা এমন হওয়া উচিত যেটা মেনে চললে আপনার বাচ্চা শৃঙ্খলাপরায়ণ হবে। সেই সঙ্গে তার জীবনে যাতে আনন্দের অভাব না ঘটে সেদিকেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। খুব বেশি বকাবকি করবেন না বাচ্চাকে। এমনটা করলে বাচ্চার মনে তার ছোটবেলা নিয়ে নানা অপছন্দ তৈরি হবে, যা মোটেই স্বাস্থ্য়কর নয়। ভুলে যাবেন না জীবনে ভারসাম্য় আনতেই রুটিন তৈরি করা হয়, বাচ্চার স্বাধীনতা হরণ করার জন্য় নয়।
কেমন হবে ৫-১১ বছর বয়সি বাচ্চাদের রোজের রুটিন। সেই নিয়েই লেখা হল এই প্রবন্ধে।
ঘুম থেকে ওঠা: সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা খুব ভালো। তাই বাচ্চাকে সকাল ৬ টার মধ্য়ে ঘুম থেকে তুলে দেবেন। সেই সঙ্গে মনে রাখবেন বাচ্চার ঘুম যেন কম না হয়, তাই রাতে খেয়াল করে তাকে তাড়াতাড়ি শুইয়ে দেবেন।
ব্রাশ করা: ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার দাঁত মাজাবেন। মুখ না ধুলে কী কী হতে পারে সেই সম্পর্কে বাচ্চাকে বোঝাবেন।
খেলাধুলো: এবার তাকে কিছুটা সময় খেলতে দিন। এটাও কিন্তু শরীরের জন্য় জরুরি।
গোছল: খেলা শেষ হলেই বাচ্চাকে স্নান করিয়ে দিন। সেই সময় তাকে শেখান পরিষ্কার থাকাটা কতটা দরকার।
প্রাতরাশ: ব্রেকফাস্টে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করুন। তাতে ডিম, সবজি এবং রুটি থাকতে পারে।
স্কুল: এবার স্কুলে যাওয়ার পালা। ঠিক সময়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠান এবং যাওয়ার সময় তাকে মনে করিয়ে দিন টিফিনের বিষয়ে।
দুপুরের খাবার: দুপুর ১ টার মধ্য়ে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিন বাচ্চাকে। লাঞ্চের মেনুতে যেন পুষ্টকর খাবার থাকে। এই বয়সে তাদের সার্বিক বৃদ্ধির জন্য় এই ধরনের খাবার খুব জরুরি।
খেলা করা: স্কুলের পরে বাচ্চাকে আবার খেলাধুলো করার সময় দিন। আরও বাচ্চাদের সঙ্গে যত মিশবে, তত আপনার বাচ্চা সামাজিক হবে। সুন্দর জীবনের জন্য় যা খুবই দরকারি।
রাতের ঘুম: রাত ৯ টার আগে বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে দিন। আর শুতে যাওয়ার আগে সে যাতে কিছুক্ষণ বই পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বই পড়ার অভ্য়াস থাকাটা খুব জরুরি।
Source:boldsky