শীতের দিনে শিশুদের গোসল করানোর ব্যাপারে অনেকেই বেশ আশঙ্কায় থাকেন। প্রতিদিন গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে, আবার না করালেও বিপদ, দ্বিধায় পরে যান l এক্ষেত্রে আসলেই কি করা উচিত মায়েদের?
শীতে শিশুকে নিয়মিত গোসল না করালেই বরং বিপদ আরো বেশি।কারণ নিয়মিত গোসল না করালে ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক শুষ্ক থাকে, খসখসে ভাব হয়।
আবার নিয়মিত গোসল না করালে শিশুর শরীর ঘেমে যায়। এই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়, ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে, ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে; এমনকি পুঁজও জমতে পারে। ঘাম গায়ে বসে গিয়েও অনেক সময় শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। শিশু বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন, শিশুর কোনো সমস্যা না থাকলে নিয়মিত গোসল করানো উচিত। জন্মের পর নবজাতককে (যাদের বয়স শূন্য থেকে ৩০ দিন)৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত গোসল না করানো উচিত।
এরপর প্রতি একদিন পরপর গোসল করানো যেতে পারে।
যাদের বয়স ৩০ দিনের বেশি সেইরূপ শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানো উচিত। তবে অল্প ওজন নিয়ে জন্ম গ্রহণকারী শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়লে, নিউমোনিয়ার কোনো লক্ষণ থাকলে বা ঠান্ডা লাগার কোনো লক্ষণ থাকলে গোসল করানোই উচিত নয়।
খুব ছোট শিশু কিংবা ঠান্ডার সমস্যা আছে এমন শিশুর ক্ষেত্রে বা যেদিন বেশি কুয়াশা থাকবে, সেদিন শিশুর গোসলের সময় কমিয়ে দিয়ে হালকা উষ্ণ পানিতে দ্রুত গোসল করিয়ে ফেলতে পারেন। শিশুদের জন্য বাজারে অনেক ভাল সাবান পাওয়া যায়। শীতে শিশুদের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করাই ভালো।
গোসল শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিন। এরপর ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার আগেই চটজলদি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। এতে শিশুর ত্বক ভালো থাকে; শুষ্ক ও খসখসে হয় না। গোসলের সময় এক দিন পর পর চুলে ভালোভাবে শ্যাম্পু করিয়ে দিন।
এতে মাথার ত্বক ভাল থাকবে এবং মাথায় কোন ফুসকুড়ি উঠবে না। শীতকালে গোসলের পানির তাপমাত্রা সহনীয় ও আরামদায়ক হতে হবে। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের বন্ধ লোমকূপ খুলে যায় এবং শরীরের রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়। শিশুর ত্বকের জন্য মালিশ খুব উপকারী; বিশেষ করে শীতে গোসলের আগে শিশুকে কিছুক্ষণ রোদে রাখার পর জলপাই তেল বা সরিষার তেল দিয়ে পুরো শরীর মালিশ করে দেওয়া উচিত। এতে শীতে শিশু ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমবে আর ত্বকও অনেক ভালো থাকবে।
Source: beshto