সময়ের আগেই বাচ্চা জন্মাতে চলেছে কিনা তা কি আগে থেকে বোঝা যায়?

গর্ভধারণের সময়টা একটা মায়ের জীবনের অন্যতম সুন্দর সময়; অথচ এই সময়টা তার মনে প্রচুর চিন্তা ও আশঙ্কা ভরে থাকে, অজাত সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে। অনেক সময় এমনও হয় যে গর্ভবতী স্ত্রী ভয়ানক প্রসব যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতেই ভয় শিউরে ওঠে এবং তার আনুসাঙ্গিক সমস্যার চিন্তা তার মনকে স্থির থাকতে দেয়না। যে কোন ধরনের চিকিৎসায় যেমন কিছু শতাংশ অনিশ্চয়তা থাকে, সেরকমই সন্তানের জন্মের সময়ও যে জটিলটা হওয়ার সম্ভবনা থাকে না, এমন নয়। নান রকম আশঙ্কা ও সমস্যা জড়িত থাকে এর সঙ্গে।

এসবের মধ্যে অন্যতম কঠিন একটা সমস্যা হল প্রি মেচিওর বেবির জন্ম নেওয়া। এই পরিস্থিতিটি কিন্তু খুবই সঙ্কটপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে নবজাতকের অনেক শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যার মধ্যে কিছু কারণ প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। অনেক কারণেই সন্তানের সময়ের আগে বাচ্চার জন্ম হতে পারে।

যেমন- গর্ভবতীর অসাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, গর্ভাবস্থায় ওজন না বাড়া, মায়ের অন্য কোনও রোগ, দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস, অবসাদ, ডায়াবেটিস, অত্যাধিক মোটা হওয়া, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি হল প্রধান কিছু কারণ। সর্বোপরি, গর্ভবতী স্ত্রী যদি যথেষ্ট পরিমাণে যত্ন না নেয় নিজের, তাহলে সময়ের পূর্বে জাত সন্তানের জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার মানে, কালের পূর্বে জাত সন্তানের জন্ম কি আগে থেকেই বোঝা যায়? জানার জন্য পড়ে দেখুন!

এই বিষয়ে হওয়া একটি গবেষণা: সাম্প্রতিক কালে উটাহ হেলথ্ সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দুটো স্ক্রীনিং টেস্টের কথা বলা হয়েছে, যা দিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীর যথাকালের পূর্বে সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বলতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো এমনভাবে তৈরী করা, যেটার সাহায্য গর্ভবতী মহিলার গলদেশের (সারভিকস) ঘনত্ব আন্দাজ করা যায়। এর সাহায্যে সময়ের পূর্বে সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা যায়।

যথাকালের পূর্বে জাতক হওয়ার সম্ভাবনা কি আগে থেকেই বোঝা যায়? সারভিকস, জরায়ুর এমন একটা অংশ, যার সান্দ্রতা গর্ভধারণের পুরো সময়টা একই রকম থাকে এবং গর্ভধারণের শেষ অবধি বন্ধই থাকে। যদি কোন কারণে সারভিকসটার ঘনত্ব কমতে থাকে বা সেটা পাতলা হতে থাকে, তাহলে সময়ের পূর্বে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা বাড়ে। এই দুটো পরীক্ষা গবেষকরা তৈরী করেছে, যার সাহায্যে জরায়ুর সান্দ্রতা বোঝা যায় এবং কালের পূর্বে সন্তানের জাত হওয়ার সম্ভাবনা বোঝা যায়।

Sharing is caring!

Comments are closed.