ছোট বাচ্চার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন কীভাবে?

প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মেই বাচ্চা বড় হতে থাকে। সেই সঙ্গে উন্নত হতে থাকে তাদের ব্রেণ পাওয়ার এবং মেমরি। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে কিছু করার থাকে না। তবে কিছু পদ্ধতি আছে যা অনুসরণ করলে বাচ্চাদের এই ক্ষমতা সর্বোত্তম স্থরে পৌঁছানো সম্ভব।

অর্থাৎ মস্তিস্কের উন্নতির হার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও তা যাতে সর্ব্বচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, সেদিকটা বাইরে থেকে খেয়াল করা যেতেই পারে।
মস্তিষ্কর ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন বলে আবার ভেবে নেবেন না অপনি আপনার বাচ্চাকে আরেকটা আইনস্টাইন বানাতে পারবেন। প্রত্য়েকটি বাচ্চা নিজস্ব ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার বাচ্চার ব্রেন পাওয়ারকে তার নিজের ক্ষমতার একেবারে শেষ বিন্দুতে পৌঁছে দিতে পারবেন।

এটাই বা কম কী!এবার তাহলে জেনে নিন সেইসব পদ্ধতি সম্পর্কে যেগুলি মেনে চললে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্ভব।

পরিবেশ: কী পরিবেশে আপনার বাচ্চা বড় হয়ে উঠছে, তা এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাড়ির পরিবেশ যত সুন্দর এবং হাসি-খুশিতে ভরা থাকবে তত বাচ্চার মস্তিষ্কের গ্রোথ ভালো হবে। এখানেই শেষ নয়, বাচ্চাকে সুন্দর করে বড় করে তুলতে নিরাপদ পরিবেশেরও প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত

শরীরচর্চা: টিভি দেখার অভ্য়াস না করে বাচ্চার মনে ছোট থেকেই শরীরচর্চা করার ইচ্ছা তৈরি করুন। এমনটা করলে দেখবেন আপনার ছোট্ট সোনাটা শারীরিক এবং মানসিক, উভয় দিক থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কারণ একথা ভুলে গেলে চলবে না যে মস্তিষ্কের গঠনে শরীরচর্চার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

বিল্ডিং ব্লকস বা পাজাল খেলা শেখান: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ছোট থেকেই যদি বাচ্চাকে পাজল বা ছোট ছোট টুকরো জুড়ে কোনও কিছু বানানোর খেলায় উৎসাহ করে তোলা যায়, তাহলে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।

আঁকতে উৎসাহিত করুন: দেখা গেছে ছোট থেকে বাচ্চাকে আঁকা শেখালে তাদের মস্তিষ্কের উন্নতি খুব দ্রুত হারে হয়। কারণ বাচ্চা যখনই আঁকতে বসে, তখনই তার ভাবনার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে, যা ব্রেন অ্যাকটিভিটি বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সপ্তাহান্তে

বেরাতে যান: সপ্তাহের শেষে বাচ্চাকে চিড়িয়াখানা বা মিউজিয়ামে বেরাতে নিয়ে যান। এমনটা করলে আপনার বাচ্চা অনেক নতুন জিনিসকে চারিপাশে দেখতে পাবে, যা তাদের সেইসব সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়াবে। যা প্রকারন্তরে মস্তষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য় করবে।

বাচ্চাকে সামাজিক হতে শেখান: আপনার বাচ্চা যত সমবয়সিদের সঙ্গে মিশবে, তত তার নানা বিষয়ে জ্ঞান বাড়বে, যা দিনের শেষে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াবে। তাই প্রতিদিন বাচ্চাকে খেলতে পাঠান। খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা জন্মালে দেখবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বড় হয়ে উঠছে।

বাচ্চাকে কোনও বিষয়ে জোর করবেন না: আপনার পছন্দের কোন জিনিস যদি আপনার বাচ্চা করতে না চায়, তাহলে তাকে জোর করে সেকাজ করতে বাধ্য় করবেন না। উলটে তার মতামতকে সম্মান করবেন। ভুলে যাবেন না এই বয়সটা তাদের আনন্দ করার সময়। তাই বাচ্চা যত আনন্দে থাকবে, তত দেখবেন তার ব্রেন পাওয়ার বাড়বে।

নানা কাজ বারে বারে করান: নানা মজার বিষয়ে বাচ্চাকে ব্য়স্ত রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন এক ধরনের কাজ যেন বারে বারে করার সুযোগ পায় সে। এমনটা করলে তার মস্তিষ্কের গঠনে উন্নতি ঘটবে। ফলে বাড়বে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।

boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.