শিশুদের বাছাই করা সেরা ২০ টি নাম অর্থ সহ

১। উলফাত = স্নেহ

২। উমাইর = বুদ্ধিমান

৩। উমাইদ = আশা

৪। সাহিম = সংগী

৫। আফিয়া = সু-সাস্থবান

৬। আরশ = ছাদ

৭। আইদিন = নিরাপদ

৮। আরিবা = শুবেচ্ছা

৯। আযিন = সুন্দর

১০। আলেম = বিজ্ঞানী

১১। তাহছিন = সজ্জা

১২। তামাদুর = উজ্জ্বল

১৩। বুশরা = সু-খবর ১

১৪। বাহিযা = খুশি

১৫। ওয়াছিফা = সভ্য

১৬। যারার = দ্রুত

১৭। ফাওজা = বিজয়

১৮। ফাতিন = সুন্দর

১৯। ইলতিমাস = আবদার

২০। ইসরার = গোপন

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য।

মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল।

তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবি অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তা নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে।

ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে। তাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা ঠিক হবে?

ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে। শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, ঘটনাক্রমে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তাআলার হেকমতের দাবি। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের অধিকারী লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।

রাসূল (সা.) কারো ভাল নাম শুনে আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় মুসলিম ও কাফের দুপক্ষের মধ্যে টানাপোড়নের এক পর্যায়ে আলোচনার জন্য কাফেরদের প্রতিনিধি হয়ে সুহাইল ইবনে আমর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এল তখন রাসূল (সা.)সুহাইল নামে আশাবাদী হয়ে বলেন- সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে এসেছেন।সুহাইল শব্দটি সাহলুন (সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতা নির্দেশক রূপ। যার অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী। বিভিন্ন কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল (সা.)আশাবাদী হওয়ার নজির আছে। তিনি বলেছেন: গিফার (ক্ষমা করা) কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম (আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়)কবিলা বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ শান্তি দিন।

Sharing is caring!

Comments are closed.