রূপচর্চায় শিশুদের প্রসাধনী

মা হয়েছেন বলে কি রূপচর্চার সময় পাচ্ছেন না? ‍কিংবা ত্বকের যত্নে আলাদা করে প্রসাধনী কেনায় বাজেটে টান পড়ছে। তাহলে শিশুর পণ্য দিয়েই নিজের সৌন্দর্য চর্চা করতে পারবেন।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার উপযোগী কিছু শিশুদের প্রসাধনীর বিষয় উল্লেখ করা হয়।

বেবি অয়েল: শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য বেবি অয়েল বেশ উপযোগী, পাশাপাশি কার্যকর মেইকআপ রিমুভার হিসেবেও কাজ করতে পারে এই তেল।

বেবি অয়েলে তুলা ভিজিয়ে খুব সহজেই ত্বকের উপরের কয়েক পরত মেইকআপ তুলে ফেলা যায়। এমনকি ওয়াটারপ্রুফ লাইনার ও মাস্কারা তুলে ফেলতেও বেবি অয়েল উপযোগী। তাছাড়া এই তেল ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখে।

বেবি লোশন: যাদের ত্বক সংবেদনশীল এবং অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বেবি লোশন সব থেকে বেশি উপযোগী। তাছাড়া এর হালকা সুগন্ধ স্নিগ্ধ রাখতে সহায়তা করে। ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও বেবি লোশন বেশ উপকারী।

শিশুদের সিরিয়াল: শিশুদের জন্য সিরিয়াল বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু এই সিরিয়াল দিয়ে তৈরি করা যায় ময়েশ্চারাইজিং ফেইসপ্যাক।

খানিকটা ‘রাইস সিরিয়াল’ নিয়ে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। ত্বকে পেস্টটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে আলতো করে মালিশ করে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শিশুদের সাবান: প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফেইসওয়াশের স্থানে সহজেই দখল করতে পারে বেবি সোপ বা সাবান। কারণ শিশুদের সাবানগুলো তাদের কোমল ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় বলে এগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত কমনীয়। আর শিশুদের সাবানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর কেমিকল থাকে না বিধায় ত্বকের ক্ষতি করে না।

শিশুদের পাউডার: শিশুদের ট্যালকম পাউডার বেবি লোশনের সঙ্গে মিশিয়ে শরীরে মেখে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। গোসলের আগে এই সহজ ধাপটি ত্বক কোমল করে তুলবে।

 

Sharing is caring!

Comments are closed.