শিশুর কল্পনাশক্তি বাড়াতে কোন ধরনের খেলাধুলার প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ?

শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর খেলাধুলার পাশাপাশি কল্পনাশক্তিরও বিকাশ অত্যাবশ্যক। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য এ বিষয়টিতে তাই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ফ্যান্টাসি ধরনের খেলার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলছেন গবেষকরা।

এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, শিশুর কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করে যেসব খেলা, সেগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এটি শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যে শিশুরা যত ফ্যান্টাসি ধরনের খেলা খেলে তারা তত সৃজনশীল হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে গবেষকদের একজন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটির লুইস বানস। তিনি বলেন, ‘এর কারণ হলো, তাত্ত্বিকভাবে, নিজস্ব ভুবন তৈরি করে এ ধরনের খেলাধুলা কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করে এবং বিশ্বকে বর্তমানের থেকে ভিন্নভাবে দেখতে সহায়তা করে। এটি সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি করে।

‘ শিশুদের কল্পনা বৃদ্ধি করার এ ধরনের খেলা সাধারণত অবাস্তব হয়ে থাকে। কল্পনাতেই নানা কাজ করা হয় এ ধরনের খেলায়। যেমন হেলিকপ্টারে চড়ে স্কুলে যাওয়া, সিংহের সঙ্গে যুদ্ধ করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে গবেষণার জন্য গবেষকরা চার থেকে আট বছর বয়সী ৭০ জন শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর তাদের বিভিন্ন ধরনের কল্পনার খেলা খেলতে দেওয়া হয় এবং এতে তাদের দক্ষতা যাচাই করা হয়।

এ ছাড়া শিশুদের তিনটি করে সৃজনশীল কাজও দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, যে শিশুরা উচ্চমাত্রায় কল্পনার খেলা খেলতে পারে, তারা সৃজনশীল কাজেও দক্ষ। এ ক্ষেত্রে শিশুদের কল্পনাশক্তির বিষয়টি বৃদ্ধির জন্য তাই গবেষকরা বলছেন, তাদের বেশি করে কল্পনাশক্তির খেলা খেলতে হবে।

গবেষকরা বলেন, ‘পিতামাতা ও শিক্ষকদের বেশি করে ফ্যান্টাসি ধরনের খেলা খেলতে উৎসাহিত করতে হবে তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য।’ এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপিত হয়েছে বেলফাস্টে ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক কনফারেন্সের ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজি বিভাগে।

Sharing is caring!

Comments are closed.