সন্তান জন্মের পর ওজন কমাতে কি করবেন

এ সময় স্তন্যপান করাতে হয় বলে চাইলেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, একইভাবে ভারী ব্যায়াম করাও মুশকিল। সন্তান জন্মের ছয় সপ্তাহ পেরোনোর আগে ভারী ব্যায়াম করা ঠিক নয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হলে তিন মাসের আগে তো নয়ই। তবে হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, শুরু করুন যত দ্রুত সম্ভব।
বুকের দুধ খাওয়ালে অনেকটা ক্যালরি খরচ হয়। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। সন্তানের বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর তাকে অন্যান্য খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে বুকের দুধের প্রতি নির্ভরশীলতা কমতে থাকে। মায়ের ক্যালরিও আগের মতো খরচ হয় না। তাই এ সময় মা ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়াতে পারেন।
অনেক সময় সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে গিয়ে ব্যায়ামের সময় মেলে না। চাইলে সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই ব্যায়াম করতে পারেন। ছোট ট্রলিতে বা প্যারাম্বুলেটরে শিশুকে নিয়ে হাঁটতে বেরোতে পারেন। সন্তানকে কোলে নিয়ে বাসার ভেতর হাঁটাহাঁটি করুন।
সন্তানের ঘাড় শক্ত হলে আরও কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। পিঠ সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ করে শুয়ে পড়ুন। দুপায়ের পাতা মাটিতে রাখুন সোজাভাবে। শিশুকে আপনার তলপেটের ওপর বসিয়ে রাখুন। আপনার দুহাত দিয়ে ওর শরীরটা ভালোমতো ধরে থাকুন। এ অবস্থায় আপনার পেটের মাংসপেশি শক্ত করে ফেলুন এবং দুধাপে আপনার মাথা-ঘাড় ওপরের দিকে ওঠান। এরপর মাথা ও ঘাড় আগের অবস্থানে নিয়ে যান তিনবারে, অর্থাৎ ওঠানোর চেয়ে একটু ধীরে ধীরে। পেটের পেশি ভেতরের দিকে টেনে আনার সময় মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ১৫-২০ বার এভাবে ব্যায়াম করুন। এরপর খানিকটা বিশ্রাম নিন, শিশুর সঙ্গে খেলুন। একই পদ্ধতিতে আরও একবার ব্যায়াম করুন। এমন ব্যায়ামে পেটের মেদ কমে।
সন্তান জন্মের পর সম্পূর্ণ আগের মতো ছিপছিপে গড়নে না-ও ফিরতে পারেন, এই বাস্তবতাকেও মেনে নিন।
Sourch: prothom alo