ঘুমের মধ্যে অনেক বাচ্চারাও কিন্তু নাক ডাকে। কেন নাক ডাকে বাচ্চারা? এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত!
![](https://babyhealth24.com/wp-content/uploads/2017/11/trhh.jpg)
তবে এই গ্ল্যান্ডের কার্যকারিতা থাকে বাচ্চার পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত, তারপর অ্যাডিনয়েডের আর কিছু করার থাকে না বলে গ্রন্থিটি ক্রমশ ছোট হয়ে যায়। অনেক সময় বেশ কিছু শিশুর অ্যাডিনয়েড জন্মের সময় থেকেই আকারে কিছুটা বড় থাকে। আবার অনেকের সংক্রমণের জন্য বা অন্য কারণে অ্যাডিনয়েড বড় হয়ে যেতে পারে। আর তখনই শুরু হয় নানা শারীরিক সমস্যা। অনেক সময় আবার শিশু বড় হওয়ার সময় এই গ্রন্থিটি বাড়তে শুরু করে।
ফল স্বরূপ নিঃশ্বাসের অসুবিধেসহ নানা অসুখের সুত্রপাত হতে পারে। বেড়ে ওঠা অ্যাডিনয়েডের কারণে বাচ্চার প্রধান সমস্যা হয় শ্বাসকষ্ট আর এর অনুষঙ্গ হিসেবে ক্রমশ অন্যান্য সমস্যাও বাড়তে থাকে। নাক বন্ধ হয়ে যায় বলে বাচ্চা মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়, এবং ঘুমাবার সময় অনবরত নাক ডাকে। আপনার বাচ্চার মধ্যে এ ধরণের উপসর্গ দেখলে প্রথমে ইএনটির পরামর্শ নিন। প্রথমে এক্স-রে করে দেখা হয়। এরপর সমস্যা বুঝলে ন্যাজাল এন্ডোস্কোপের সাহায্যে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থিটিকে পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজন হলে বিশেষ সিটি স্ক্যান ও অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে।
মনে রাখবেন, আমার পরামর্শগুলো শুধুমাত্রই গবেষণালব্ধ ফলাফল তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকই সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। একটা অনুরোধ, কখনো নাক ডাকা নিয়ে বাচ্চাকে বকাবকি বা এ নিয়ে হাসাহাসি করবেন না, এতে করে বাচ্চা কিন্তু হীনমন্যতাতে ভুগতে পারে। মনে রাখবেন, সে ছোট তাই তার সুবিধা-অসুবিধাগুলো তাদের আগে আমাদেরই বুঝে নিয়ে সেই মোতাবেক তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ।
beshto..