চিনে নিন সেরা ৪টি প্রাকৃতিক বেবি ম্যাসাজ অয়েল
নামী দামী যে সকল ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বাজারে প্রচলিত আছে, সেগুলোর মধ্যে জনসন এন্ড জনসন অন্যতম। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জনসন এন্ড জনসনের তৈরি পণ্য ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে! বাইরের কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহারে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করে এর বিকল্প পণ্য ব্যবহার করা উচিত। ঠিক তেমনি বেবি অয়েলের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক এই তেলগুলো।
১। সরিষা তেল
অনেকে মনে করেন সরিষা তেল বাচ্চার ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে। তবে এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করাটা ঝুকিঁপূর্ণ। অন্য কোন তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেকোন এসেন্সিয়াল অয়েল অথবা হালকা কোন তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল।
২। নারকেল তেল
ম্যাসাজ করার জন্য সবচেয়ে ভাল তেল হল নারকেল তেল। এটি হালকা হয়ে থাকে, যা খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং এটি শিশুকে একটি ঠান্ডা অনুভূতি দিয়ে থাকে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ত্বক নরম কোমল করে থাকে। শিশুর ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে থাকে।
৩। অলিভ অয়েল
নবজাতকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকরী তেল হল অলিভ অয়েল। শিশুর ত্বকে ব্যবহারের জন্য এটি সবচেয়ে নিরাপদ তেল। বাইরে দেশগুলোতে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৪। বাদাম তেল
বাদাম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। এর পুষ্টি উপাদান শিশুর ত্বক নরম কোমল করে তোলে। এটি গোসলের তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সতর্কতা
তেল ব্যবহারের পূর্বে ভাল করে এর নির্দেশিকা পড়ে নিবেন। ভাল কোন মানের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করবেন। বাজারের খোলা তেল নয়।