একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি টিকা নেয়া অত্যাবশ্যক?

যদি আপনার রুবেলা টিকা না নেওয়া থাকে, তাহলে দ্রুত টিকাটি নিয়ে নিন। নিশ্চিত করুন, রুবেলার টিকা নেওয়ার কমপক্ষে এক মাস পর আপনি গর্ভধারণ করছেন। অন্যভাবে বললে, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রুবেলার প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার শরীরে তৈরি হয়েছে, এটা নিশ্চিত হয়েই গর্ভধারণ করুন। হুপিং কাশি এমন একটি রোগ যা গর্ভবতী মায়েদের হলে গর্ভের সন্তানের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে, এমনকি নিশ্বাসও বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হেপাটাইটিস বি ইনফেকশনের কারণে লিভারের সমস্যা, এমনকি লিভারের ক্যান্সারও হতে পারে। গর্ভবতী মা যদি হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় সন্তানেও এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের যদি ফ্লু থাকে, তাহলে গর্ভের সন্তানও বিপদের মধ্যে থাকে। মায়ের ফ্লুয়ের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান জন্ম নিতে পারে, সন্তানের আকার এবং ওজন কম হতে পারে, এমনকি মারাও যেতে পারে। তাই প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের হুপিং কাশি, হেপাটাইটিস বি এবং ফ্লুয়ের টিকা নেওয়া উচিত।
আমাদের দেশে এই তিনটি টিকাই রুটিন ইপিআই সিডিউলে টিটেনাস এবং ডিপথেরিয়ার সাথে তিনবার দেওয়া হয়ে থাকে যথাক্রমে ৬ সপ্তাহ, ১০ সপ্তাহ এবং ১৪ সপ্তাহ বয়সে। তাই গর্ভবতী মায়েদের নিশ্চিত হওয়া উচিত বাচ্চাকালে তারা এই টিকাগুলো নিয়েছিলেন কি না। যদি সেই সময়ে না নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে গর্ভধারণের ২৭ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যেই এই তিনটি টিকা একসঙ্গে নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে যেন মা এবং অনাগত সন্তান বিপদমুক্ত থাকেন, সেজন্য প্রতিটি নারীকে ১৫ বছর বয়সে হাম এবং রুবেলার টিকার পাশাপাশি টিটির প্রথম ডোজ, ৪ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ, ৬ মাস পর তৃতীয় ডোজ, ১ বছর পর চতুর্থ ডোজ এবং চতুর্থ ডোজের ১ বছর পর পঞ্চম ও সর্বশেষ ডোজ নিয়ে নেওয়া উচিত।