যে সব শিশুরা একদমই খেতে চায় না তাদেরকে খাবারে রুচি বাড়ানোর জন্য কি করা যেতে পারে ?
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা প্রায় সব শিশুর। অপরদিকে যেসব খাবারে তাদের আগ্রহ, তা আবার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। বাচ্চার এমন খাবার তালিকায় আপনি চরমভাবে বিরক্ত।
শিশুকে কিছুতেই বোঝাতে সক্ষম হচ্ছেন না পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না, পুষ্টিকর খাবারে শিশুর আগ্রহ বাড়াতে অবলম্বন করতে পারেন শিশুর স্বাস্থ্য কথা দেওয়া কিছু উপায়। এর আগে আপনারা দেখেছেন কেমন হবে স্বাস্থ্যবান শিশুর ওজন?
সবজি কেনার সময় শিশুকে সঙ্গে নিন
বাজার করার সময় আপনার শিশুকে সঙ্গে রাখতে পারেন।
তার পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে সবজি কিনলে খাওয়ার আগ্রহ থাকবে। যে সবজিটি তার কাছে সুন্দর দেখাবে সেটি খেতেও মানসিকভাবে বাধ্য থাকবে। আপনার সোনামনিকে জানান তার পছন্দের সবজিটি রান্না হয়েছে তাহলে আগ্রহের সঙ্গে খাবে।
রান্নার সময় তাকে পাশে রাখুন
শিশুকে খাওয়াতে চান এমন কোন খাবার রান্নার সময় তাকে পাশে রাখুন। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও মাঝেমাঝে করতে পারেন। রান্নার প্রক্রিয়া তাকে খাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে। তার হাতে কিছুটা সবজি তুলে দিয়ে রান্নার পাত্রে রাখতে উৎসাহী করুন। তাকে নানা ভাবে প্রশংসা করে বোঝান আজ আপনারা তার রান্না খাবার খাচ্ছেন। দেখবেন, বাচ্চাটি খুব বেশি আনন্দিত হবে।
পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাবার খান
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। যা দেখবে তাই-ই করবে। পরিবারের সবাই মিলে খেতে বসলে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেতে দিন। এতে আপনার শিশু নিজের অজান্তেই পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
খাবারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করুন
খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে শিশুর সঙ্গে আলোচনা করুন। তাকে শেখান কোন খাবারে তার দেহ কেমন উপকার পেতে পারে। কিছু খাবার তাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে, কিছু তাকে অন্যদের চেয়ে শক্তিশালী করে তুলবে, কিছু খাবার তাকে দ্রুত দৌড়াতে সাহায্য করবে এভাবে জানালে শিশু সেসব খাদ্যের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
খাওয়ার জন্য জোর নয়
শিশুকে কখনোই খাওয়ার জন্য জোর করবেন না। হতে পারে তার আর খাওয়ার ইচ্ছা নেই বা সে ক্ষুধার্ত নয়। তাকে খেলাধুলার সুযোগ দিন। এতে তার পরিশ্রম হবে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে।